সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের মেট্রো আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ডায়মন্ড ছাড়াও এ ঘটনায় আটকরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী রুহেল আহমদ, জাকির আহমদ ও সৈয়দ আবিদ আহমদ।
সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান (র.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, সোমবার ভোরে টিলাগড় এলাকার একটি বাসা থেকে ডায়মন্ডকে এবং অপর ৩ জনকে ঘটনার দিন রাতেই আটক করে পুলিশ। আটক চারজন আওয়ামী লীগ নেতা ও সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ গ্রুপের অনুসারী।
এদিকে, সোমবার বিকেলে নিহত তানিমের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বাদ আসর জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে টিলাগড় পয়েন্ট প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তানিম।
পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ছাত্রলীগ কর্মী তানিম সিলেট সরকারি কলেজের ডিগ্রি পাস কোর্সের ছাত্র ও সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় ভুরুঙ্গা এলাকার ইসরাইল খানের ছেলে। তিনি রঞ্জিত গ্রুপের কর্মী ছিলেন।
গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জিত সরকার ও সিটি কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা আজাদুর রহমান আজাদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিন কর্মী আহত হন। এ ঘটনার দু’দিন পর কোন্দলেই ছাত্রলীগ কর্মী তানিমকে প্রাণ হারাতে হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
এনইউ/আরআইএস/