মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। বাণিজ্য শুরু হওয়ায় বন্দরে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য।
ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমস কর্মকর্তাদের হয়রানির প্রতিবাদে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ধর্ঘমট ডেকে গতকাল সোমবার সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়।
এদিকে একদিন পর আমদানি-রফতানি শুরু হওয়ায় বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে বন্দর এলাকায় বেড়েছে যানজট। এতে আমদানি পণ্যের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, পেট্রাপোল কাস্টমস অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নানা হয়রানির প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
পরে বিকেলে প্রশাসনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। রাতে পুনরায় বৈঠক করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের দাবি মেনে নেওয়ায় তারা মঙ্গলবার সকালে ধর্মঘট তুলে নেয়।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আরেফিন বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি পুনরায় শুরু হয়েছে। তারা দ্রুত পণ্য ছাড়করণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বাণিজ্য সচলের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, পেট্রাপোল কাস্টমসের ঘুষ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছিলো। বিষয়টি নিরসনে সেখানকার ব্যবসায়ীরা কাস্টমসকে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন। কিন্তু কাস্টমস ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পাত্তা না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে গতকাল থেকে তারা ধর্মঘটের ডাক দেয়। এতে বেনাপোল-পেট্রাপোল রুটে সব ধরনের পণ্যের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
এজেডএইচ/এমজেএফ