সরকারের কাছে কম্বল, খাবার ও নগদ অর্থের কোনো কমতি নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দরিদ্র শীতার্ত মানুষের যা যা প্রয়োজন সব সরবরাহ করা হবে।
শৈত্যপ্রবাহে শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ জানাতে মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আগে দেখা যেত অনেক প্রতিষ্ঠান দুর্গতদের সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়তো। এবার কিন্তু লক্ষণটা এখনো দেখিনি। হয়তো তারা ভাবছে- শীত শুরু হয়ে যাবে, অনেকে হয়তো ভাবছে শীত নাও আসতে পারে। এ বছর যে এ ধরনের ঘটনা হবে সেজন্য অনেকেই প্রস্তুত ছিল না। আমরা প্রস্তুত ছিলাম বলেই প্রায় ২৭ লাখ কম্বল গ্রামের শীতার্ত মানুষের হাতে পৌঁছে দিয়েছি।
আমাদের কোনো কমতি নেই। আমি বিত্তবানদের অনুরোধ করবো, অতীতে যে রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে, ঢাকায় বসে টেলিভিশনে চেহারা না দেখিয়ে চলেন শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই। দেখি কারা শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সেটা আপনাদের মাধ্যমে দেখতে চাই, যোগ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের টিম নিয়ে শীতার্ত মানুষের পাশে চলে গেছেন জানিয়ে মায়া বলেন, আমরা (মন্ত্রণালয়) ২০টি টিম পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরাও জেলাগুলো সফর করবো, আমরা বসে নেই, পাশে থাকবো। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব শাহ কামাল মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে এবং আমি কাল চাঁদপুরে যাবো।
শীতার্ত মানুষের জন্য ২৮ লাখ ১০ হাজার কম্বল এবং ৮০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানান দুর্যোগ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
জেলায় জেলায় কম্বল-শুকনো খাবার, কন্ট্রোল রুম
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
এমআইএইচ/এমজেএফ