সিরাজগঞ্জ স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে মামলাটির বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিক সরকার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২ জানুয়ারি বিকেলে বিচারক মামলাটি বিস্ফোরক আইনের ধারায় আমলে নিয়ে ১৯ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-শাহজাদপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র নাসির উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি আব্দুর রহিম, তার শ্যালক উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি শেখ কাজল, উপজেলা তাঁত শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহমুদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী ও যুবলীগ নেতা আশিকুল হক দিনারসহ ১৯ জন।
অ্যাড. রফিক সরকার বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুরের পৌর মেয়র হালিমুল হক মীরুর বাড়িতে হামলা, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সমকালের সাংবাদিক শিমুল গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী নুরুন্নাহার খাতুন বাদী হয়ে মেয়র ও তার ভাইসহ ১৮ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে মেয়রের বাড়িতে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় তার স্ত্রী মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ তাকে ফিরিয়ে দেয়। পরে মেয়রের স্ত্রী লুৎফুননেছা পিয়ারী বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটির তদন্ত শেষে সব আসামিদের বাদ দিয়ে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
চুড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি দিয়ে বাদী লুৎফুন নেছা পিয়ারী আদালতে নারাজি দিয়ে মামলাটি জুডিশিয়াল তদন্তের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত জুডিশিয়াল সাক্ষী গ্রহণ করেন। এতে ১৯ জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হাসিবুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এবং বিস্ফোরক আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এ নথি পাঠান। এ মামলায় ১৯ আসামির মধ্যে ১৫ জন উচ্চ আদালত থেকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়েছেন। পরবর্তীতে ২৩ জানুয়ারি আবারও তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
অ্যাড. রফিক সরকার আরও বলেন, বিস্ফোরক আইনের অপর মামলায় ২ জানুয়ারি শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম ১৯ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি খাজা মো. গোলাম কিবরিয়া মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ হাতে এসে পৌঁছেনি। আদেশ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ০৯ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ