মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ছয় জেলেকে।
উদ্ধারকৃত জেলেরা হলেন-মোংলা উপজেলার খাসেরডাঙ্গা গ্রামের নিরোধ হালদারের ছেলে প্রতুল হালদার (২৮) এবং জয়মনি গ্রামের ছত্তার হাওলাদারের ছেলে হাফিজ হাওলাদার (২৫), শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ বাধাল গ্রামের ইসমাইল ফকিরের ছেলে শাহ্ আবুল ফকির (২৮), উত্তর রাজাপুর গ্রামের ইসমাইল খানের ছেলে সুমন খান (২০), একই গ্রামের মোফাজ্জেল আকনের ছেলে সুমন আকন (২৮) ও রতিয়া রাজাপুর গ্রামের রুহুল পহলানের ছেলে ইসরাফিল পহলান (২৩)।
শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আকবর আলী বাংলানিউজকে জানান, জেলে অপহরণের খবর শুনে সকালে শরণখোলা নৌ-পুলিশের একটি দল শ্যালা নদীতে অভিযান চালায়। এসময় নদীর পাশের বনে লুকিয়ে থাকা দস্যুরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় আধাঘণ্টা গুলি বিনিময়ের পর দস্যুরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ওই এলাকায় তাল্লাশি চালিয়ে এক দস্যুর গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখতে পায়। পরে স্থানীয় বনজীবী ও জেলেরা মরদেহটি বনদস্যু ছোট বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ফরিদের বলে নিশ্চিত করে। নিহত ফরিদের বাড়ি মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বৌদ্দমারী গ্রামে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম জানান, উদ্ধার করা মরদেহ শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করার পর ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮/আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা
এসআই