মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে পরিবারের অনুমতি ছাড়াই শ্যামসিদ্ধি গ্রামের সিরাজ তালুকদারের মেয়ে ঋতিকাকে বিয়ে করেন একই গ্রামের আলতাফ তালুকদারের ছেলে সোহেল (২৪)।
মঙ্গলবার দুপুরে অচেতন অবস্থায় ঋতিকাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক ঋতিকাকে মৃত ঘোষণা করলে মরদেহ রেখেই পালিয়ে যায় তারা। এছাড়া ঋতিকাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে থেকেই তার স্বামী সোহেল পলাতক রয়েছেন।
ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এছাড়া তার গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
শ্রীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিক বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে এসে দেখি মরদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির লোকজন মরদেহটি হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঋতিকার বাবা সিরাজ তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, আমার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্নও আছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
টিএ