আবেদ রহমানের মতো উল্টো পথে গাড়ি চালানোর দায়ে অনেক চালককেই ট্রাফিক পুলিশের কড়াকড়ির জন্য মগবাজার মোড়ে মামলা খেতে হয়। কিন্তু মোড় পার হলেই দেখা গেল, অনিয়মের ছড়াছড়ি!
বাংলামোটর থেকে মগবাজারগামী সড়কে অবাধে উল্টোপথে রিকশা, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার চলাচল করছে।
যানজট কমাতে নির্মিত মগবাজার ফ্লাইওভারের উদ্বোধনের পরপর ফ্লাইওভারটির নিচের অংশ অবৈধ দখল ও গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে মগবাজার-বাংলামোটর সড়ক। অনেক সময় সড়কটির দীর্ঘ যানজটের প্রভাব ইস্কাটনের অলিগলিতেও দেখা দেয়।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সরজমিনে ওই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, ফ্লাইওভারের নির্মাণের কারণে অনেকটাই সরু হয়ে পড়া রাস্তার অধিকাংশ দখল হয়ে গেছে অবৈধ কার পার্কিংয়ে। ফ্লাইওভারের নিচে ঘেরা অংশজুড়ে বসেছে জমজমাট কাঁচাবাজার। অন্যদিকে, জনসাধারণের হাঁটার সামান্য রাস্তাটুকুও ফাঁকা নেই ফুটপাতে গড়ে ওঠা গ্যারেজের কারণে। গ্যারেজের কর্মচারীরা মাঝ রাস্তায় গাড়ি রেখে মেরামত কাজ করছেন।
ফ্লাইওভারের উপরে হালকা যানবাহন দ্রুত গতিতে চলাচল করলেও নিচের অংশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে গণপরিবহন। ফলে ফ্লাইওভারের সুফল পাচ্ছেন না বাংলামোটর-মগবাজার সড়কের চলাচলকারীরা।
মগবাজার এলাকার বাসিন্দা নিয়ামুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর দিন থেকেই শুরু হয়েছে দখল। বাংলামোটর থেকে মগবাজার আসতে যেতে অনেক সময় ঘণ্টাও পার হয়ে যায়। ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে সহজে মগবাজার মোড় পার হলেও গণপরিবহনকে আগের মতোই দীর্ঘ সিগনালে আটকে থাকতে হচ্ছে। সকল বেলা ফ্লাইওভারের নিচে কাঁচাবাজার বসায় পুরো রাস্তা ব্লক হয়ে থাকে।
ইস্কাটন অংশে ফ্লাইওভারের নিচে কাঁচাবাজার নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ী লেবু মিয়া। তিনি বলেন, আমরা তো সেভ জায়গায় বাজার নিয়ে বসেছি। সকাল থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত থাকি। যারা গ্যারেজ দিয়েছে তারা তো রাস্তার মাঝখানে গাড়ি রেখেছে, তাদের কিছু বলেন।
ফ্লাইওভারের নিচে বাজারের অনুমতি আছে কি-না জানতে চাইলে লেবু মিয়া বলেন, অনুমতি আছে কি নাই জানি না। এদিক-ওদিক একটু টাকা পয়সা তো দিতেই হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপি ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মফিজউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সড়ক দখল করে পার্কিং বা ব্যবসা করার করার কোনো নিয়ম নেই। বাংলামোটর-মগবাজার সড়কটির অবস্থা খবু খারাপ। আমরা প্রায় সময় অবৈধ পার্কিংয়ের জন্য মামলা দেই। গাড়িগুলো রেকারে দিচ্ছি। এমনকি গ্যারেজ ও ফুটপাত ব্যবসা উঠিয়ে দেওয়ার জন্য সিটি করপোরেশনকে বারবার চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
সিটি করপোরেশন অভিযান চালিয়েছে অনেকবার। কিন্তু অভিযানের পর আবার ব্যবসা নিয়ে বসে পড়ে ব্যবসায়ীরা। সড়কটিতে শৃঙ্খলা আনতে শিগগিরই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মফিজউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
এমসি/এমজেএফ