মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল রানার উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোসলেহ উদ্দিন। সোহেল রানা শ্রীবরদী উপজেলার মাধবপুর গ্রামের ছাবেদ আলীর ছেলে।
আদালতের সরকারি কৌসুলি অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু এ ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত পিপি জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১১ সালের ২৯ আগস্ট ভোরে শ্বশুরবাড়িতে ঘুমন্ত স্ত্রী আফরোজা বেগমের গলা কেটে হত্যা করেন সোহেল রানা। গুরুতর অবস্থায় আফরোজাকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন সোহেল রানাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় সোহেল রানা ও তার বাবা-মাসহ চারজনকে আসামি করে নিহত আফরোজার বাবা আফরোজ আলী বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতে সোহেল রানা স্ত্রী হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে পুলিশ সোহেল রানাকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বাদী জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৮ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার আদালত ঘাতক সোহেল রানার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, ০৯ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ