ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আদিতমারীতে ৩ মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
আদিতমারীতে ৩ মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ২ এই জমি দখল নিতে গিয়ে প্রাণ হারালেন তিনজন। ছবি-বাংলানিউজ

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় মামা, ভাগ্নেসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে।

মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিতে আদিতমারী থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত আব্দুল জলিলের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।  

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার সারপুকুর ইউনয়নের তালুক হরিদাস গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের গিলাবাড়ি গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়া (৫৫), তার মামা তালুক হরিদাস গ্রামের শহিদার রহমান(৫৫) ও তার মামাতো ভাই গফুর উদ্দিনের ছেলে গোলাম রব্বানী (৪৫)।  

এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত আব্দুল জলিলের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (২০)। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের তালুক হরিদাস গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে খবির উদ্দিন মাস্টার (৪৬) ও একই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ইংরেজ আলী ওরফে ইংরেজ ভাটিয়া (৪৫)।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বাংলানিউজকে জানান, আব্দুল জলিল গত বছর তালুক হরিদাস গ্রামে ২৭ শতাংশ জমি কেনেন। সেই জমি পাশের টিপের বাজার এলাকার আব্দুল খালেক মুন্সির অবৈধ দখলে ছিল। বিষয়টি নিয়ে সালিশে হলে চলতি আমন মৌসুমে আমন ধান কাটার পর আব্দুল জলিলের দখলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী সোমবার (১২ নভেম্বর) ধান কেটে নিয়ে যান আব্দুল খালেক। এরপর রাতেই ওই জমিতে ঘর উঠান আব্দুল জলিল। মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) সকালে তিনি স্বজনদের নিয়ে ওই বাড়ি দেখতে গেলে আব্দুল খালেকের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আব্দুল জলিলের। এতে আহত হন জাহেদুল,  গোলাম রব্বানি ও শাহিদার রহমান। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে এদের মধ্যে গোলাম রব্বানির মৃত্যু হয়। আহত অপর দু’জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সকাল ১০টার দিকে মৃত্যু হয় শাহিদারের।  

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর দু’জনকে আটক করা হয়। পরে এ ঘটনায় নিহত আব্দুল জলিলের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে ১৩/১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আটক দু’জনকে পরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।