ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতিমৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল সিলগালা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
ভুল চিকিৎসায় প্রসূতিমৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল সিলগালা জাহাঙ্গীর জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার

নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যু এবং ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে অস্ত্রোপচারসহ চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগে হাসপাতালটি সিলগালা করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। 

মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার জোনাইল বাজারে জাহাঙ্গীর জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার পারভেজ।

এসময় ওই হাসপাতালের যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

তবে ঘটনার সময় হাসপাতাল মালিক উপস্থিত না থাকায় তার বাবা নাজমুল হোসেনকে আটক করা হয়।  

এর আগে গত সোমবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ওই ক্লিনিকে ভুল অস্ত্রোপচারে পারভীন খাতুন (২৮) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়।  

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে জোনাইল বাজারে জাহাঙ্গীর জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পরিতোষ কুমার উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালে গিয়ে অপারেশন থিয়েটারে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়নি। কোনো রেজিস্টার্ড চিকিৎকও পাওয়া যায়নি।  

এছাড়া সিভিল সার্জনের কাছ থেকে শুধু প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার সনদ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম নিজেই অস্ত্রোপচার করেন এমন তথ্য পাওয়া যায়।  

অন্যদিকে গত সোমবার (২৬ নভেম্বর) উপজেলার কুমারখালী গ্রামের নাসির উদ্দিনের স্ত্রী পারভীন খাতুনকে ভর্তি করা হলে জাহাঙ্গীর আলম ভুল অস্ত্রোপচার করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার বিকেলে সেখানে ভর্তিকৃত ১৪ জন রোগীকে অন্য হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ক্লিনিকটির মূল ফককে তালা ঝুলিয়ে সিল করে দেওয়া হয়।

ইউএনও আনোয়ার পারভেজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ক্লিনিক মালিককে অভিযানের সময় না পেয়ে তার বাবাকে আটক করা হয়েছে। তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।  

তিনি আরো বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা ক্লিনিকগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালানোর মাধ্যমে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।