চরাঞ্চলের উন্নয়নে চর ফাউন্ডেশন বা চর উন্নয়ন বোর্ড নামে একটি স্বাধীন প্রাতিষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষ গঠন করার দাবি জানিয়েছে ‘সমুন্নয় ও ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স’।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নতুন সরকারের কাছে চরের মানুষের প্রত্যাশা’ শীষর্ক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল চর এল্যায়েন্সের চেয়ারম্যান খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন চর অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব জাহিদ রহমান, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ।
ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, চরের মানুষের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে জাতীয় পযার্য়ে একটি চর ফাউন্ডেশন গঠন করা খুবই দরকার। চরের মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সরকারকে সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিতে হবে, যেখানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য ও কমর্সংস্থানের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া বিনামূল্যে শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এগুলো হলে চরের মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
তিনি বলেন, চরের মানুষের মানব উন্নয়ন সূচক নিধার্রণ করতে হবে। চরের মানুষ এক সময় হলেও জাতির ভাগ্যোন্নয়নে আসবে। এজন্য সরকারকে এখনি পরিকল্পনা নিতে হবে। কেননা চরে অথর্নৈতিক খাতে অবদান রাখার অনেক সম্ভাবনা আছে। আমরা সকল সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছি। তাহলে চরাঞ্চলের মানুষ কেন পিছিয়ে থাকবে? আমরা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত একটা ব্যবস্থা নেবেন।
ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব জাহিদ রহমান বলেন, সরকারের নানা কমর্সূচি ও পদক্ষেপের পরিধি বাড়লেও দেশের চরাঞ্চলে বসবাসরত ১ কোটি মানুষের উন্নয়নে কাযর্কর কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। উল্টো জাতীয় বাজেটে প্রতি বছর বরাদ্দ দেওয়া হলেও বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যাচ্ছে। এজন্য চরাঞ্চলের জন্য উন্নয়ন ফান্ড গঠন অতি জরুরি। আর এটি গঠন করা হলে চরের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট ভূমির প্রায় ১০ শতাংশ চরভূমি দেশের প্রায় ৩২টি জেলার ১০০ উপজেলার অংশজুড়ে বিস্তৃত। নদী ভাঙন, বন্যা, খরাসহ প্রাকৃতিক দুযোর্গ মোকাবেলা করে চরের মানুষদের বেঁচে থাকতে হচ্ছে। তাই তাদের টেকসই উন্নয়নে সরকারকে সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। একই সাথে চরের মানুষের উন্নয়নে চর নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
এইচএমএস/এমজেএফ