মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ।
‘বৈষম্যহীন দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হই’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ ও সাউথ এশিয়া অ্যালায়েন্স ফর প্রভার্টি ইরাডিকেশন।
অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, বর্তমান সময় ডিজিটাল। অধিক ধনীরাও প্রযুক্তির উৎকর্ষে বড়। তারা যদি একত্রিত হয়, তবে তখন আমরা আর সত্য-মিথ্যা বুঝতে পারবো না। সে ক্ষেত্রে বৈষম্য কমাতে না পারলে দুঃখ আরও বাড়বে। শুধু সম্পদ নয়, আমাদের চিন্তা আর পছন্দও বেদখল হয়ে যাবে। তাই ক্রমবর্ধমান বৈষম্য ও অসমতা দূর করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর সম্পদের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি ডা. রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, আমাদের দেশে বৈষম্য আছে। চাকরির ক্ষেত্রেই যদি ধরি, ফরমাল সেক্টরে আন্দোলন হয়, সরকার বেতন বাড়ায়। কিন্তু নন-ফরমাল সেক্টরে এটা হয় না। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের আয়ের প্রায় ৬৫ ভাগ আয় চিকিৎসা খাতে ব্যয় হয়ে যায়। এতে ধনীদের সমস্যা না হলেও মধ্যবিত্তদের সমস্যা প্রকটভাবে দেখা দেয়। আমরা সচেতন করছি, তবে নিজেদের সমস্যা নিজেদের তুলে ধরতে হবে। নয়তো বৈষম্য বাড়বে, আর বৈষম্য বাড়লে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। সচেতনতা ও আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের বৈষম্য দূর করতে হবে। নইলে ধনীরা আরও ধনী হবে আর দরিদ্ররা আরো বেশি দরিদ্র হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান বলেন, রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা সমাজকেন্দ্রিক না হয়ে বাজারকেন্দ্রিক হলে বৈষম্য সৃষ্টি হয়। আমাদের রাষ্ট্রের চরিত্র পরিবর্তিত হয়ে গেছে। এটা সমাজকেন্দ্রিক না হয়ে বাজারকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। আর এটাই আমাদের মধ্যে বেশি বৈষম্য তৈরি করে।
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক ও নারীনেত্রী রোকেয়া কবিরের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন, জননেতা পংকজ ভট্টাচার্য শিশু সংগঠক ও কেন্দ্রীয় খেলাঘর সাধারণ সম্পাদক লেলিন চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এইচএমএস/এমজেএফ