শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস ও ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউট যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জাপানের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক প্রতিনিধি যোগদান করেন।
সেমিনারে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা বিষয়ে মূল উপস্থাপনা করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ বিশ্ব স্বীকৃত। ২০১৯ সালে বাংলাদেশকে বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং ধারণা করা হচ্ছে আগামী ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৪তম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
রাষ্ট্রদূত জাপানের অর্থনৈতিক নীতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তোশিমিতসু মোতেগির সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন তথ্য-প্রযুক্তি কোম্পানি পরিদর্শনের কথা সবাইকে অবহিত করেন।
তিনি জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে এবং বাংলাদেশ থেকে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল নিয়োগের আহ্বান জানান।
পৃথক এক উপস্থাপনায় জাইকার দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক আকিতো তাকাহাশি বাংলাদেশে জাইকা উন্নয়ন উদ্যোগ এবং জাপান-বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তি সহযোগিতা বিশেষ করে মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস’র (বেসিস) সাবেক সভাপতি মাহবুব জামান, জাপান-বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তি সহযোগিতা ও এ খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা এবং জাপানে বাংলাদেশের দক্ষ আইটি প্রফেশনালদের চাকরির সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নাকাতানি হিরোহিসা বাংলাদেশ ও এশিয়ার আইসিটি মার্কেটের ওপর বিশদ আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সেমিনারটি আয়োজনে সহযোগিতা করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা); ইউনাইটেড নেশন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
প্রশ্ন-উত্তর ও বিজনেস নেটওয়ার্কিং পর্বের মাধ্যমে সেমিনারের সমাপ্তি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯ৱ
টিআর/জিপি