শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন।
এ সময় প্রত্যেকের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা, ১টি করে কম্বল ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়।
এর আগে জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের রাজবাড়ি কর্নময়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মরদেহগুলো হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজা-উদ দৌলা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সুভাশিষ চাকমা, জেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি আরিফা সুলতানা লাভলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কান্তি ভূষণ রায়, শিমুবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হামিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান হামিদুল হক বলেন, একই স্থান থেকে মীরগঞ্জ ইউনিয়নের মরদেহগুলোও হস্তান্তর করা হয়। সকালে শিমুলবাড়ি ও মীরগঞ্জ এলাকায় কাভার্ড ভ্যানে করে মরদেহ নিয়ে আসা হয়। এখানকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিহতদের পরিবার বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করবে বলে জানান চেয়ারম্যান।
দুই ইউনিয়নের ১৩টি তাজা প্রাণ এভাবে শেষ হয়ে যাওয়ার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী। শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক সদস্য আনিসুর রহমান বলেন, এগুলো হতদরিদ্র পরিবার। এই অকাল মৃত্যু কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। পরিবারের উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন তারা। তাদের মৃত্যুতে পরিবারগুলো অসহায় হয়ে পড়লো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
জেডএস