শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে চৌদ্দগ্রাম থানায় নিহত শ্রমিক রঞ্জিত চন্দ্র রায়ের ভাই সঞ্জিত চন্দ্র রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, অজ্ঞাত ট্রাকচালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ কাজ করছে।
শুক্রবার ভোরে চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের ওই ইটভাটায় কয়লাবাহী একটি ট্রাক আনলোড করার সময় উল্টে গিয়ে শ্রমিকদের থাকার ঘরের উপর পড়ে। এতে ঘুমে থাকা শ্রমিকদের ১২ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহতাবস্থায় আরও তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে একজনকে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন- নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বিপ্লব (১৯), মনোরঞ্জন চন্দ্র রায় (১৯), শঙ্কর চন্দ্র রায় (২২), দিপু চন্দ্র রায় (১৯), অমৃত চন্দ্র রায় (২০), মৃণাল চন্দ্র রায় (২১), বিকাশ চন্দ্র রায় (২৮), রঞ্জিত চন্দ্র রায় (৩০), কনক চন্দ্র রায় (৩৫), তরুণ চন্দ্র রায় (২৫), মো. সেলিম (২৮), মো. মোরসালিন (১৮), মাসুম (১৮)। এরা সবাই স্থানীয় কাজী অ্যান্ড কোং নামে একটি ইটভাটার শ্রমিক।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর ও পুলিশ সুপার (বর্তমানে কুমিল্লা দক্ষিণ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত) আব্দুল্লাহ আল মামুন। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা ছাড়াও মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে নেওয়ার পরিবহন খরচও জেলা প্রশাসন বহন করে। এছাড়া আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাইজার মোহাম্মদ ফারাবীকে আহ্বায়ক করে জেলা প্রশাসনের চার সদস্যের এবং পুলিশ সুপার (কুমিল্লা দক্ষিণে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কর্মরত) আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশের ব্যবস্থাপনায় নিহতদের মরদেহ শনিবার (২৬ জানুয়ারি) ভোরে নীলফামারীতে পৌঁছানোর পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
আরবি/