শনিবার (২৬ জানুয়ারি) ভোর থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বন্দিদের নতুন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আধুনিক আবাসিক নানা সুবিধা সমৃদ্ধ জেলা কারাগার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
১৯১৮ সালে ঔপনিবেশিক আমলের প্রাচীন উপ-কারাগারের স্থলে একটি স্বাধীন দেশের উপযোগী বসবাসযোগ্য সংশোধনাগার নির্মাণ করা হয়। ১৬৭ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী বন্দি উপযোগী এই কারাগারের ৫৫৭ জন বন্দি ছিলেন। নতুন কারাগারে ৪৫০ জন বন্দি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ কয়েদির ধারণ ক্ষমতা ৪২০ জন এবং নারী কয়েদি ৩০ জন। জেলা কারাগারে বন্দিদের জন্য থাকবে ওয়ার্ক শেড, সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি, বিচারাধীন কয়েদি ও নারী কয়েদিদের জন্য থাকবে আলাদা আলাদা ব্যারাক। অসুস্থ বন্দিদের জন্য মেডিকেল সেন্টার, প্রিজনারস সেল, ক্যান্টিন ইত্যাদি। ইতোমধ্যে নতুন জেলা কারাগারের সমাপ্ত নির্মাণের কাজের মধ্যে রয়েছে জেলা অফিস কাম জেলারের বাসভবন, প্রিজনার্স ওয়ার্ক শেড, সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ব্যারাক, বিচারাধীন কয়েদি ব্যারাক (পুরুষ), কিশোর কয়েদি ব্যারাক, নারী কয়েদি ব্যারাক (সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন), ওয়ার্ডার্স ব্যারাক, মেডিকেল সেন্টার (পুরুষ), প্রিজনার্স সেল, স্টাফ কোয়ার্টার এবং দু’টি কোয়ার্টার।
পিরোজপুর জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মো. শামীম ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, কারারক্ষী, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের চৌকস দলের নেতৃত্বে প্রিজনভ্যানে করে পুরাতন কারাগার থেকে বন্দিদের নবনির্মিত কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
এসআরএস