ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেবাচিমে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
শেবাচিমে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ

বরিশাল: বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসক ও সেবিকাদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রোগীর স্বজন এবং চিকিৎসক ও সেবিকাদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। 

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় শিশু বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মারধরের শিকার হন এক শিশু রোগীর মা ও নগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থ রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা কামাল হাওলাদারের স্ত্রী চাঁদনী বেগম।

পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পাশাপাশি দায়িত্বে অবহেলা ও রোগীর স্বজনদের হয়রানির অভিযোগে শারমিন নামের এক সেবিকাকে শিশু বিভাগের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

চিকিৎসক ও নার্সদের হাতে মারধরের শিকার চাঁদনী বেগম জানান, শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) চিকিৎসার জন্য তিন বছর বয়সী ছেলে আলিফ আনসারিকে হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে ভর্তি করান। সেখান থেকে তাকে শিশু মেডিসিন ওয়ার্ডে রেফার্ড করেন সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক। এরপর আবার সেখান থেকে ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ডায়েরিয়া ওয়ার্ড থেকে তাকে  শিশু ওয়ার্ড এবং এর কিছুক্ষণ পরে আবার শিশু ওয়ার্ড থেকে শিশু সার্জারি বিভাগে পাঠানো হয়।

চাঁদনী বেগম জানান, চিকিৎসা না দিয়ে ছেলেকে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে পাঠানো এবং হয়রানির প্রতিবাদ করেন তিনি। এ নিয়ে শিশু বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। তখন সন্তানকে অন্যত্র নিয়ে চিকিৎসা করার কথা বলেন। পাশাপাশি হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে যেতে চান তিনি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চাঁদনী বেগমকে মারধর করেন ওয়ার্ডের দায়িত্বরতা। বিষয়টি নিয়ে রোগীর স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তখন পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিন্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. অসিম কুমার সাহা বলেন, রোগীর চিকিৎসা নিয়ে কোনো ঝামেলা হয়নি। শিশুর মা হাসপাতালের নার্সিং ডিউটিরুম থেকে সরকারি ব্যবস্থাপত্র নিয়ে যেতে চান। এ নিয়ে নার্স ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে ধাস্তাধস্তি হয়েছে।  

এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, চিকিৎসকের সঙ্গে কোনো সমস্যা হয়নি। নার্সের ভুলের কারণেই রোগীর স্বজনদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এজন্য অভিযুক্ত নার্স শারমিন আক্তারকে শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্ব থেকে অব্যহতিও দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, শিশুটির চিকিৎসা আগেই শুরু হয়। কিন্তু নার্স না বুঝে তাকে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে পাঠিয়েছে। শিশুটির সুষ্ঠু চিকিৎসার বিষয়ে তার স্বজনদের আমরা আশ্বস্থ করেছি। বর্তমানে সে শিশু সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
এমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।