সোমবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে নাস্তিপুর সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ভারতের কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় বলে জানায় বিজিবি।
নিহত ওমিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম জাকারিয়া বাংলানিউজকে জানান, নাস্তিপুর গ্রামের কৃষকরা সকালে সীমান্ত সংলগ্ন মাঠে কৃষি কাজ করতে যান। এ সময় বাংলাদেশি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ গজ ভেতরে ভারতের বিজয়নগর অংশে ওমিদুলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা বিজিবির স্থানীয় বিওপি ক্যাম্পকে খবর দেয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর দপ্তর থেকে ঘটনাস্থলে আসেন বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। পতাকা বৈঠক করা হয় বিএসএফের সঙ্গেও।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, ধারণা করা হচ্ছে ওমিদুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নামে দামুড়হুদা থানায় বেশ কয়েকটি মাদক ও চোরাচালানের মামলা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল ইমাম হাসান বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে সকালেই নাস্তিপুর সীমান্ত পরিদর্শন করা হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত চাওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিএসএফের কমান্ডার হোমেশ্বর সিং জানিয়েছেন, চোরাচালানীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ওমিদুল খুন হতে পারেন। ময়নাতদন্তের পর নিহতের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।
নিহতের বাবা আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে জানান, রোববার সন্ধ্যায় বাড়িতেই ছিলেন ওমিদুল। এরপর একটি ফোন পেয়ে ওমিদুল বাড়ি থেকে বের হন। রাতে আর বাড়িতে ফেরেনি। সকাল ১০টার দিকে ভারতের বিজয়নগর অংশে তার মরদেহ পড়ে রয়েছে বলে তিনি খবর পান। ছেলে হত্যার ব্যাপারে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
এনটি