তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজের ব্যর্থতা বা দুর্বলতা আড়াল না করে এডিপি-সভায় বাস্তবচিত্র তুলে ধরতে হবে। অর্থবছর শেষ হলে যেনতেনভাবে খরচ করে সরকারি অর্থের অপচয় করা যাবে না।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ উপখাতের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির মাসিক পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় প্রাণিখাতের ২১টি চলমান প্রকল্পের সামগ্রিক অগ্রগতির চিত্র অবহিত হন প্রতিমন্ত্রী। সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডলসহ ঊর্ধ্বতন অফিসার এবং প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প পরিচালকদের প্রতি আহবান জানিয়ে মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি প্রকল্পের কাজের অবস্থা দেখতে আকস্মিক পরিদর্শনে যাবো। নির্ধারিত মেয়াদেই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। অর্থবছর শেষ হলে যেনতেনভাবে প্রকল্পের টাকা খরচ করে সরকারি অর্থের অপচয় আর নয়। এরচেয়ে উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়াই ভালো। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে আর সময়বৃদ্ধি করা যাবে না, যাতে নতুন-নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা যায়।
আশরাফ আলী খান খসরু আরো, প্রকল্পের নামে কেনা যন্ত্রপাতি অবশ্যই এক্সপার্ট কমিটির মাধ্যমে যথাযথভাবে বুঝে নিতে হবে। যন্ত্রপাতি যাতে অযথা পড়ে থেকে নষ্ট না হয় এবং নির্ধারিত ওয়ারেন্টির মেয়াদ পার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে বেসরকারি ফার্মের ওপর নির্ভর না করে নিজেদের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখাকে জনবলে সমৃদ্ধ করতেও নির্দেশ দেন প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
জিসিজি/এমজেএফ