মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) কনফারেন্স কক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয় তখন দেখা যাবে।
অনুষ্ঠানে খেলাপি ঋণ ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা ও গ্রোথের জন্য বড় হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোলনের সব সরকারি ব্যাংকের ঋণে দেওয়া উচিত না বলে মনে করেন পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার।
তিনি বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলো ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের ঋণ না দিয়ে বড় বড় ব্যবসায় ঋণ দিয়েছে। আর ব্যবসায়ীরা ঋণ নিয়ে এখন আর পরিশোধ করছে না। ফলে দিন দিন খেলাপি ঋণ বেড়ে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ১ লাখ কোটি টাকা। ফলে ব্যাংকগুলোকে জিম্মি করে ফেলছে।
এ অবস্থা থেকে উত্তোলনে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শুধু ডিপোজিট সংগ্রহ করে সাধারণ মানুষের সেবামূলক কাজ করতে দেওয়া উচিত। তবে খুব প্রয়োজনে সরকারি সাতটি ব্যাংকের দু’য়েকটি ব্যাংককে ঋণ দিতে পারে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ত্বত্তাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সমস্ত ব্যাংকিং সেক্টর সমস্যায় জর্জরিত। খেলাপি ঋণ, সুদ হারসহ সব দিকে মিস ম্যানেজমেন্ট হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যহার হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, খেলাপি ঋণের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ডিপোজিটররা।
তাই দেশের অর্থনীতির স্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, এক লাখ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের মধ্যে ৭০-৭৫ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ নিয়ে বিচার চলছে। আইনের সংস্কার না থাকায় দ্রুত বিচার হচ্ছে না। ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত সুষ্ঠু এবং বিচার ব্যবস্থা জরুরি।
ব্যাংকিং সেক্টরের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে পিআরআই পাঁচটি সুপারিশ করেছে। সুপারিশগুলো হলো- ব্যাংকিং সেক্টরের সংস্কার, কর ব্যবস্থার সংস্কার, রফতানিবান্ধব ব্যবসা কর ব্যবস্থা করা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আলোকে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার ও গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নতি করা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
এমএফআই/এএ