রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার বিজিবি গেটের সামনে থেকে আতাউর রহমানসহ ওই প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-২। আটক অন্যরা হলেন- আতাউরের এপিএস পরিচয় দানকারী মঞ্জুরুল আলম (৪৮) ও আতাউরের ছেলে মামুনুর রহমান (৩১)।
এসময় তাদের কাছ থেকে মেজর র্যাংক ব্যাজ সম্বলিত বিডিআরের পোশাক পরিহিত ১০ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ডাচ বাংলা ব্যাংকের চেক বইয়ের একটি পাতা, বিভিন্ন পরীক্ষার তিনটি প্রবেশপত্রের ফটোকপি, বিভিন্ন ভুয়া সিলসহ প্রতারণার বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
রোববার (৪ জানুয়ারি) রাতে আটকের বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-১) মেজর মো. রুহুল আমিন।
আটক আতাউরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, আতাউর এ প্রতারণা চক্রের মূলহোতা। সে নিজেকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর হিসেবে পরিচয় দিতো। বিশ্বাস স্থাপনের জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছে মেজর র্যাংক ব্যাজ সম্বলিত বিডিআরের পোশাক পরিহিত নিজের ছবি দেখাতো। তার অভিনয়ে মানুষ তাকে সাবেক মেজর বলে বিশ্বাস করতো।
আতাউর সাধারণ ছাত্র, বেকার যুবক, দরিদ্র ছাত্রদের বিভিন্ন সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে আসতেন। পরবর্তীতে চাকরি প্রত্যাশীদের সেনানিবাস, বিজিবি দফতরের আশপাশের এলাকায় গাড়ি দিয়ে ঘুরিয়ে আনতো। কিছু ক্লিনিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিষয়টিকে আরো বিশ্বাসযোগ্য করিয়ে তুলতো সে।
এছাড়া চাকরির জন্য বিভিন্ন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও বনবিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তার সিল সম্বলিত সুপারিশপত্র প্রদান করতো। এভাবে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতো সে।
আটক মঞ্জুরুল আলম নিজেকে একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীতে ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের কাছ থেকে অবৈধ টাকা গ্রহণ করতো। এছাড়া আতাউরের সব অবৈধ কাজের সহযোগী ছিলেন তিনি।
এদিকে, আতাউরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার বাসায় অভিযান চালিয়ে তার মাদকসেবী ছেলে মামুনকে ২৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান মেজর মো. রুহুল আমিন।
বাংলাদেশ সময়: ০১০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
পিএম/আরবি/