ঘটনার ১২ দিন পর তাকে আসামি করে মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
রাব্বি সদর উপজেলার কুশাখালি ইউনিয়নের ছিলাদী গ্রামের সাইফুল ইসলাম হারুনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জানুয়ারি (শুক্রবার) দুপুরে রাব্বি ওই শিশুকে ঘুঘু পাখির বাসা থেকে বাচ্চা নিয়ে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ওই গ্রামের রফিক মেম্বারের বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি কালভার্টের নিচে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত রাব্বি। একপর্যায়ে শিশুটিকে সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সে।
পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে ঘটনাস্থল দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে নোয়াখালীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতিত শিশুর বাবা জানান, ধর্ষণকারীর নামে থানায় মামলা করা হয়েছে। এখন তিনি ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান।
কুশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, পাখির বাসা দেখানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাটি জানার পর ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। বিষয়টি পুলিশকেও জানিয়েছি।
দাসেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মফিজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, রাব্বিকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
এসআর/জিপি