স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রতিবেশীদের দাবি, সরকারি জমিতে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে না।
সূত্র জানায়, ঢাকায় একটি সরকারি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালট্যন্ট ডা. এবিএম খোরশেদ আলম ভূঞা জুয়েল এবং তার ভাই এটিএম কিবরিয়া কাদের ভূঞা মুক্তা ঈশ্বগঞ্জের পৌরসভার ওই মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় খাস জমিতে ভবন নির্মাণ করছেন।
পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. নজরুল ইসলাম বাচ্চু বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর আমাদের বাসা সংলগ্ন রাস্তা বন্ধ করে ও আমার জায়গা দখল করে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন জুয়েল ও মুক্তা।
‘এনিয়ে প্রতিবাদ করলেও মুক্তা সন্ত্রাসী আচরণ করেন। এ অবস্থায় আমরা ভূমি অফিস থেকে জমির কাগজপত্র তুলে জানতে পারি তাদের নির্মাণাধীন ভবনের জমি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত। ’
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় পৌর তহসিলদার মো. লূৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বহুতল ভবন নির্মাণাধীন জমিটি সরকারের ১ নং খাস খতিয়াভুক্ত। ওই জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের খবর পেয়ে কাজ বন্ধ রাখার নোটিশ টানাতে গিয়েছিলাম।
‘কিন্তু ভবন মালিকরা বাঁধা দেয়। পরে উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মইন উদ্দিন খন্দকার পুলিশ নিয়ে গিয়ে নোটিশ টানিয়েছেন। নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বললেও তারা কাজ করে যাচ্ছেন। ’
লূৎফর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে সরকারি জায়গায় ভবন নির্মাণকারীরা জেলা প্রশাসককে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেছেন। পরে আদালত আমাদের ২০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেন। আমরা জবাব দিয়েছি। ’
এসব অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত এটিএম কিবরিয়া কাদের ভূঞা মুক্তা বাংলানিউজকে বলেন, বিআরএস মূলে জমিটি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত। কিন্তু সিএস আরওআর মূলে এ জমির মালিক আমার পিতা ডা. জব্বার ভূঞা। তাই নিয়ম মেনেই পাঁচতলা ভবন নির্মাণের কাজ করছি। এতে কারো পথ বন্ধ না করা হয়নি।
তিনি দাবি করেন, এনিয়ে আদালতে মামলা চলছে। ফলে পৌর প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ করছি।
তবে ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুছ ছাত্তার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য তারা পৌরসভার কোনো অনুমতি নেয়নি।
‘মূলত এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ার সুবিধা নিয়ে অন্যায়ভাবে জবর দখল করে তারা সরকারি জমিতে ভবন নির্মাণ কাজ করছেন। স্থানীয় প্রশাসনকেও তারা মানছেস না। ’
এ বিষয়ে ডা. এবিএম খোরশেদ আলম ভূঞা জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, ‘ওই ভূমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। ভবন নির্মাণে ক্ষমতা ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
এমএএএম/এমএ