তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার। বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করাই শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এসময় জাতিসংঘের সিনিয়র মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হেইকা আলেফসেন ও সোকো ইসাইকাওয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ মিশনের সবাই একটি প্লাটফর্মে এসেছে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে। তারা জানিয়েছে, আলাদা আলোচনা করলে সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়। একসঙ্গে আলোচনা করলে দ্রুত সিদ্ধান্ত ও সমস্যা সমাধান করা যায়। তাই আমাদের আলোচনা অত্যন্ত সুন্দর ও ফলপ্রসূ হয়েছে। তারা আমাদের কাছে কয়েকটি বিষয়ে জানতে চেয়েছে। আমরা তাদের সববিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা দিয়েছি।
আনিসুল হক বলেন, তারা আমাদের কাছে সাক্ষ্য আইন ও বৈষম্য বিরোধ আইন আইনের ব্যাপারে তাদের বক্তব্য দিয়েছে। তারা জানতে চেয়েছে, এ দুই আইন কবে হবে। আমরা বলেছি, সাক্ষ্য আইন নিয়ে সরকার কাজ করছে। আর বৈসম্য বিরোধ আইন নিয়ে আগামী মাসে একটি মিটিং করবো। সেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের আইনে কি আছে সেটা যানার চেষ্টা করবো। পাশাপাশি যারা এ আইনের ব্যাপারে আগ্রহী, তারা কি চায় এবং আমরা খসড়ায় কি করছি তা দেখা হবে।
জাহালমকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাহালমের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এটার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাই। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ রকম একটা ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তারা এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে।
জাতিসংঘের সিনিয়র মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হেইকা আলেফসেন বলেন, আমাদের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে। আমরা কিছু আইনের ধারা, মানবাধিকার, অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করছি। এক্ষেত্রে মানবাধিকার নিয়ে সরকার অনেক কাজ করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং আগামীতেও তা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/