বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার মৎস্য ঘাটে এসব তথ্য জানিয়েছেন ফিরে আসা জেলেরা।
অপহৃত জেলেরা হলেন- খোকন মাঝি, নাসির উদ্দিন, সালাহ উদ্দিন ও আ. রহমান।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কক্সবাজার সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেল থেকে পাথরঘাটা উপজেলার নিজলাঠিমারা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ছগির হোসেনের মালিকানা এফবি সিরাজুল হক নামে একটি ট্রলারসহ ১৭ জেলেকে অপহরণ করে জলদস্যু বাহিনী। পরে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী এলাকায় অপর একটি ট্রলারে ১৩ জেলেকে ফেরত দিয়ে ট্রলারসহ ৪ জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে নিয়ে যায়।
ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে এফবি সিরাজুল হক ট্রলারের মালিক মো. ছগির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গভীর বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে সন্ধ্যার দিকে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে অপেক্ষা করছিল। এমন সময় আগ্নেয়াস্ত্রধারী ২০ থেকে ২৫ জনের জলদস্যু বাহিনী এসে অস্ত্রের মুখে ট্রলারসহ ১৭ জেলেকে জিম্মি করে। এসময় জেলেরা প্রতিবাদ করলে তাদের পাইপগান দিয়ে মারধর করে।
কিছুদূর যাওয়ার পর মহেশখালী এলাকায় অপর একটি ট্রলারে ১৩ জেলেকে আহত অবস্থায় ফেরত দিলেও ট্রলারসহ বাকি চার জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। এখন পর্যন্ত ওই জেলেদের মুক্তিপণের জন্য দস্যু বাহিনী যোগাযোগ করেনি, এমনকি তাদের ফেরতও দেয়নি।
ফিরে আসা জেলেদের মধ্যে মিজানুর রহমান, রুবেল, লোকমান, দুলাল, সাহাব উদ্দিন, শফিক, গিয়াস উদ্দিন, বেল্লাল হোসেন, জাহের, শাহজাহানের নাম পাওয়া গেছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ফেরত আসা ১৩ জেলে কক্সবাজার ঘাটে ফিরে আসার পর তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭) এর ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-৭ এর কোম্পানির কমান্ডার মেজর মেহেদি বাংলানিউজকে বলেন, ফিরে আসা জেলেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। অপহৃত ট্রলার ও চার জেলেকে উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
জিপি