বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দিলে সোয়া ১২টা থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা-ছাত্রছাত্রী, সামাজিক, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসী অংশ নেয়। এতে পাকশী রেলওয়ে ডিগ্রি কলেজ, নতুন রুপপুর বালিকা বিদ্যালয়, রুপপুর উচ্চ বিদ্যালয়, নতুন রুপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন ও অবরোধে অংশ নেয়।
সমাবেশে বক্তারা আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করলে ১০ ফেব্রুয়ারি বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর, জহুরুল হক, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহমেদ হোসেন ভূইয়া, পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, হাবিবুল ইসলাম হবিবুল, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, ফজলুর রহমান ফান্টু, জাহাঙ্গীর আলম, ফজলুল হক বুদু, আবুল বাশার, পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাস, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বিবিসি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পর নিজ বাসার সামনে একটি মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন দুর্বৃত্ত পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান সেলিমকে গুলি করে। এসময় তার আত্মীয় স্বজনরা রক্তাক্ত ও আহতাবস্থায় ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
এনটি