এর মধ্যে বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় খাওয়ানো হবে ৩ লাখ ৪ হাজার ৫৯৪ জন ও সিটি এলাকায় ৪৯ হাজার ২৭০ জন শিশুকে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ও বিসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে পৃথক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, ৯ ফেব্রুয়ারি ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। ওইদিন বরিশাল জেলার ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩২ হাজার ৫৬৪ জন শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। পাশাপাশি ১২ থেকে ৫৯ বয়সের ২ লাখ ৭২ হাজার ৩০ জন শিশুকে লাল রঙের ২ লাখ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
মনোয়ার হোসেন বলেন, ওইদিন বরিশালের ১০ উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়নের ২৫৫টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ২৫৫টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বরিশাল সিভিল সার্জনের এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন ৪ হাজার ১০০ জন কর্মী। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে।
সিভিল সার্জন বলেন, ইতোমধ্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পর সব মসজিদে ইমামরা টিকাদান কর্মসূচির বিষয়ে মুসল্লিদের অবহিত করবেন। অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুকে রক্ষা করতে এ ভিটামিনের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মো. বজলুল রহমান।
এদিকে, দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মতিউর রহমান জানিয়েছেন, ৯ ফেব্রুয়ারি বিসিসির আওতায় ২২০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪৯ হাজার ২৭০ জন শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪ হাজার ৯৭০ জন শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একইসঙ্গে ১২ থেকে ৫৯ বয়সের ৪৪ হাজার ৩০০ শিশুকে লাল রঙের ২ লাখ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ওইদিন সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ, সদর হাসপাতাল, শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ২২টি প্রতিষ্ঠানের ৪৭৪ জন কর্মী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
এমএস/আরবি/