এ ঘটনায় বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে টঙ্গী বোর্ডবাজার এলাকা অভিযান চালিয়ে রিফাতকে গ্রেফতার করে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।
তিনি বলেন, তাহি ও রিফাত সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন। রিফাতের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদের থাকার জায়গা দেন তাহির বাবা হুমায়ুন কবির। এই সূত্রে রিফাতের বাবা আব্দুর রাজ্জাক হুমায়ুনের টার্কি খামার দেখাশোনা করতেন।
ঘটনার দিন রিফাত সেই টার্কি ফার্ম থেকে বাসায় আসার সময় তাহির সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়। তাহি জানতে চায় তার নানি কোথায় আছে, পরে তাহিকে নানির কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ির পাশে জঙ্গলে নিয়ে যায় ও তাহিকে ধর্ষণ করে রিফাত। এ ঘটনায় তাহি কান্নাকাটি করতে থাকে এবং বাড়িতে বলে দেবে বললে পাশে পড়ে থাকা একটি ইট দিয়ে মাথা থেতলে হত্যা নিশ্চিত করে রিফাত। পরে সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়।
সারওয়ার কাশেম জানান, রিফাত স্থানীয় উলুম মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিল।
শিশু তাহির মা আবিদা সুলতানা ও বাবা মো. হুমায়ূন কবীর দোষী রিফাতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
আবিদা সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, রিফাতদের পারিবারিক অবস্থা খারাপ থাকায় রিফাতের বাবাকে টার্কি ফার্মে চাকরি দিয়েছিলাম। রিফাত আমার মামাতো বোনের ছেলে, চেয়েছিলাম এখানে চাকরি করলে তাদের দুর্দশা কেটে যাবে। কিন্তু উল্টো আমার বিপদ হলো, আমার ছোট মেয়েটাকে নৃশংসভাবে হত্যা করলো।
নিজের শিশু সন্তানের হত্যাকারীর ফাঁসি চেয়ে হুমায়ূন কবীর বলেন, আমি চাই না আর কারো সন্তানের এ অবস্থা হোক। পাশাপাশি পরিবারকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, পর্নোগ্রাফির প্রভাবেই এমন ঘটনা ঘটেছে, ইতোমধ্যে সরকার বেশকিছু পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট বন্ধ করেছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করা হলে ধর্ষণ অনেকটা কমে আসবে।
গত ২৭ জানুয়ারি গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন শরীফপুর এলাকায় কাশবন থেকে পাঁচ বছরের শিশু তাহির লাশ উদ্ধার করা হয়। তাহি স্থানীয় মাতৃছায়া আইডিয়াল স্কুলের নার্সারি শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
পিএম/এএ