ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রস্তুত স্বপ্নের মেট্রোরেলের লোকোমোটিভ নকশা

রহমান মাসুদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯
প্রস্তুত স্বপ্নের মেট্রোরেলের লোকোমোটিভ নকশা

ঢাকা: একদিকে চলছে মেট্রোরেলের লাইন তৈরির কাজ, অন্যদিকে চলছে অত্যাধুনিক এই রেলের কোচ, ইঞ্জিন  ও সেট তৈরির কাজ। প্রথম কাজটি হচ্ছে ঢাকায়। অপর কাজটি হচ্ছে সুদূর জাপানে। উন্নয়ন সহযোগী দেশটিতে চূড়ান্ত হয়েছে মেট্রোরেলের লোকোমোটিভ ডিজাইন। তৈরি হচ্ছে মক-আপ বা রেপ্লিকা

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ডিএমআরটিডিপি) বা মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে মেট্রোরেলের ইঞ্জিন এবং কোচ সেটের ছবিও।

যেমন হবে মেট্রোরেল।  ছবি: সংগৃহীতএসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবু নাসের টিপু। তিনি লিখেছেন, ‘ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে স্বপ্নের মেট্রোরেলে লোকোমোটিভ ডিজাইন। জাপানের কারখানায় তৈরি হচ্ছে মক-আপ বা রেপ্লিকা। ছবির মতোই হবে ঢাকা মেট্রোর ভেতর-বাহির। ’

এদিকে ডিএমটিসিএলের এক নোটিশে বলা হয়েছে, মেট্রোরেলের অগ্রগতির বিষয়াদি নিয়ে ১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি জাপানে একটি বৈঠক হতে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের লোকোমেটিভ তৈরির কাজে নিয়োজিত জাপানি প্রতিষ্ঠান কাওয়াসাকি মিতসুবিশি কর্পোরেশন এই বৈঠকের আয়োজন করেছে।

এই বৈঠকে অংশ নেবেন ডিএমটিসিএলের নির্বাহী পরিচালক এম এ এন সিদ্দিকী, ডিএমটিসিএলের লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক আফতাবুদ্দিন তালুকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-সচিব মোস্তফা কামাল, ডিএমটিসিএলের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক সাইদুর রহমান ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক-৫ এবিএম আরিফুর রহমান। মেট্রোরেলের কোচ ও ইঞ্জিনের নকশা ।  ছবি: সংগৃহীতঢাকার যানজট নিরসন ও নগরবাসীর যাতায়াত আরামদায়ক, দ্রুততর ও নির্বিঘ্ন করতে ২০১২ সালে গৃহীত হয় মেট্রোরেল প্রকল্প। এ প্রকল্পের দৈর্ঘ্য হবে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত, ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার। অর্থাৎ এই এলাকায় বসবাসকারী লাখো নগরবাসী মেট্রোরেল ব্যবহার করে গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারবেন দ্রুত। এই প্রকল্পে ২৪ সেট ট্রেন চলাচল করবে। প্রত্যেকটি ট্রেনে থাকবে ৬টি করে কার। ঘণ্টায় ১’শ কিলোমিটার বেগে ছুটবে যাত্রী নিয়ে। উভয়দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন বহনে সক্ষমতা থাকবে মেট্রোরেলের।

প্রকল্পের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭ কিলোমিটারে ৯টি স্টেশন থাকবে। এগুলো হচ্ছে উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, মিরপুর-১২, পল্লবী, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও। আর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বাকি ৮ দশমিক ৪ কিলোমিটারে স্টেশন থাকবে ৭টি। এগুলো হলো- বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব এবং মতিঝিলে (বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে)।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
আরএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।