বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পানছড়ি উপজেলা সদরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত রনি পানছড়ির মরাটিলা এলাকার নলেন্দ্র লাল ত্রিপুরার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানছড়ি সুখতারা নামক স্থানীয় একটি বোর্ডিং এ প্রবেশকালে একজন দুর্বৃত্ত রনিকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রনিকে উদ্ধার করে পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আরিফুর রহমান বলেন, নিহতের পাঁজরে গুলি লেগেছে। হাসপাতালে আনার পরই তাঁর মৃত্যু ঘটে।
পানছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) দুলাল হোসেন বলেন, স্থানীয়রা একজনকে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যেতে দেখেছে। মরদেহ সকালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি।
এদিকে নিহত রনিকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করে ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপকে দায়ী করেছে জনসংহতি সমিতি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপিডিএফ'র খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক মাইকেল চাকমা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯/আপডেট: ০১০৭ ঘণ্টা
এডি/টিএ/আরএ