বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গোপনে সুমনকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার সহপাঠীরা।
এর আগে, বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীখাতা হাফিজিয়া মাদ্রসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী সুমন মিয়া উপজেলার উত্তর দলগ্রাম পাটোয়াটারী গ্রামের জোনাব আলীর ছেলে। সে শ্রীখাতা হাফিজিয়া মাদ্রসার হেফজো শাখার ছাত্র।
আহত শিক্ষার্থীর সহপাঠী ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, বুধবার ক্লাসে পড়া দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সুমন মিয়াকে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল রশিদ। এ সময় অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসা না দিয়ে মাদ্রাসার কক্ষে আটকিয়ে রাখেন ওই শিক্ষক। বৃহস্পতিবার বিকেলে সুযোগ বুঝে সহপাঠীরা গোপনে সুমনকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় বিচার চেয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত শিক্ষার্থী সুমনের বাবা জোনাব আলী।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ আব্দুল রশিদ বাংলানিউজকে জানান, পড়ায় অমনোযোগী হওয়ায় শাসন করতে গিয়ে একটু বেশি লেগেছে মাত্র। ছাত্রদের একটু শাসন না করলে পড়তে চায় না।
শ্রীখাতা হাফিজিয়ার মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সম্পাদক আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
এনটি