রাজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে পদকপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।
পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকের হাতে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন দুই লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।
এ সময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালেদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, সংস্কৃতি সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একুশ আমাদের মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখিয়েছে। এখান থেকেই স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকে এগিয়ে যায় বাঙালি জাতি।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই ২১জনের নাম ঘোষণা করে।
এবার একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে মরহুম অধ্যাপক হালিমা খাতুন (মরনোত্তর), গোলাম আরিফ টিপু এবং অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম একুশে পদক পান। আর মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্যকে পদক দেওয়া হয়েছে।
প্রয়াত পপ তারকা আজম খান ও নজরুল সংগীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিলের সঙ্গে এবার সংগীত বিভাগে এ পদকে ভূষিত হয়েছেন কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী।
অভিনয়ে একুশে পদক পেয়েছেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ও অভিনয় শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফা; একই বিভাগে অভিনয় শিল্পী লাকী ইনাম ও লিয়াকত আলী লাকীও একুশে পদক পেয়েছেন।
দেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রী সাইদা খানম আলোকচিত্রে এবং চিত্রশিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ চারুকলায় পুরস্কার পেয়েছেন। গবেষণায় বিশ্বজিৎ ঘোষ ও মাহবুবুল হক এবং শিক্ষায় প্রণব কুমার বড়ুয়াকে এই পদক দেয়া হয়।
এছাড়া ভাষা সাহিত্যে রিজিয়া রহমান, ইমদাদুল হক মিলন, অসীম সাহা, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মইনুল আহসান সাবের ও হরিশংকর জলদাস একুশে পদক পেয়েছেন।
ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক দিয়ে আসছে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
এমইউএম/এমএ