আর বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে চলছে গাদা, গোলাপ ও রজনীগন্ধা কিনে পুষ্পাঞ্জলি তৈরির কাজ। রাত পোহালে একুশে ফেব্রুয়ারি নিজেদের নির্মিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন তারা।
মহান ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করেই এসবের আয়োজন চলছে দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের কোড়া গ্রামে। স্থানীয় তরুণদের এ কর্মযজ্ঞেই ফুটে উঠেছে মাতৃভাষার প্রতি তাদের অশেষ প্রেম, ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
কোড়া গ্রামের পাড়ের পুকুরপাড়ের মোড়ে কোড়া তরুণ সংঘের উদ্যোগে নির্মিত শহীদ মিনারের এ প্রস্তুতি দেখতে প্রতিদিন এলাকার আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা ভিড় করছেন।
কোড়া তরুণ সংঘের সভাপতি হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে জানান, তাদের এলাকায় শহীদ মিনার নেই। এজন্য প্রতিবছর তারা নিজস্ব উদ্যোগেই শহীদ মিনার বানিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, পুকুর ধারের মোড়ে কাদা দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করেছি। এখন চলছে ফুল দিয়ে সাজানোর কাজ। একুশে ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে মাইকে বাজবে দেশের গান। এছাড়া শিশুদের অংশগ্রহণে মোরগ লড়াই, চেয়ার সিটিং, হাড়ি ভাঙা, বল ছোড়াসহ বিভিন্ন খেলাধূলার আয়োজন করা হয়েছে।
ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি জানান, স্থানীয় আবু জাফর, রুহুল আমিন, আব্দুল্লাহ, রাজু, রায়হান, আব্দুর রহমান, নাসিম, ইমরান, নাইম, জাহিদ ও তিনিসহ ৫০-৬০ জন তরুণ এ উদ্যোগে সম্পৃক্ত। তাদের সঙ্গে রয়েছে এলাকার শিশুরাও। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টিই এ উদ্যোগ।
স্থানীয় তরুণ রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছরই আমরা চাঁদা তুলে স্বাধীনতা উৎসব, বিজয় উৎসব ও নববর্ষ উদযাপন করি। এছাড়া একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় ভাষা শহীদদের।
শহীদ মিনার সাজাতে আসা ছোট্ট শিশু আব্দুল্লাহ জানায়, বইয়ে পড়েছি সালাম, বরকত, জব্বারসহ অনেকে বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন। মাতৃভাষা রক্ষায় এ আত্মত্যাগ গৌরবের। তাই মাকে বলে এসেছি, অনেক কাজ। ফিরতে দেরি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
এসআই