বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত থেকে শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত স্ব স্ব এলাকায় নিহতদের মধ্যে ৬ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি, কোম্পানীগঞ্জ ও বেগমগঞ্জ উপজেলার নিহতদের মধ্যে মোট ১১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন- নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে মাহাবুবুর রহমান রাজু (২৮), তার বড় ভাই মো. মাসুদ রানা (৩৬), ওই ইউনিয়নের পশ্চিম নাটেশ্বর গ্রামের মিনহাজী বাড়ির মৃত ভুলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী হোসেন (৬৫), পূর্ব নাটেশ্বর গ্রামের সৈয়দ আহমদের ছেলে হেলাল উদ্দিন, মির্জা নগর গ্রামের আবদুর রহিম বিএসসির ছেলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (৩৮), মমিন উল্যার ছেলে সাহাদাত হোসেন হিরা (৩২), মৃত গাউছ আলমের ছেলে নাছির উদ্দিন (৩২) মধ্য নাটেশ্বর গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেল্লা বাড়ির ছেলে ছিদ্দিক উল্লা ও পার্শ্ববর্তী বারোগা ইউনিয়নের দৈলতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আনোয়ার।
বেগমগঞ্জ উপজেলার নূর মোহাম্মদের ছেলে কামাল হোসেন (৪৫) ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহি ইউনিয়নের মৃত শহীদ উল্যাহর ছেলে জসিম উদ্দিন (৪৫)।
নিহতদের মধ্যে শুক্রবার সকাল ৮টায় পূর্ব নাটেশ্বর গ্রামের হেলাল উদ্দিন, ৯টায় ঘোষকামতা গ্রামের মাসুদ রানা ও মাহাবুবুর রহমান রাজুর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এরআগে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১০টা বেগমগঞ্জের মুজাহেদপুরে কামাল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জের জসিম উদ্দিন ও রাত ৩টার দিকে পশ্চিম নাটেরশ্বর গ্রামের মৃত ভুলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী হোসেনেরও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়া দিনের বিভিন্ন সময়ে বাকিদের জানাজা সম্পন্ন করা হবে বলে জানা যায়।
এদিকে নিহতদের স্বজনরা বাংলানিউজকে জানান, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর অনেকের নিহত হওয়ার খবরে স্বজন ও এলাকাবাসী নিহতদের বাড়িতে লোক সমাগম হলেও আসেননি প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৬৭ জন পুড়ে মারা যায়। পুরান ঢাকার চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আবাসিক ভবনটিতে কেমিক্যাল গোডাউন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
জিপি