কথাগুলো বলতে বলতে গাল বেয়ে চোখের পানি ঝরছে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে নিহত সোলায়মানের ভাই জিলহাসের।
পুরান ঢাকায় ভ্যানে করে চিংড়ির বড়া বিক্রি করতেন সোলায়মান।
লালবাগ শহীদনগর এলাকার সেই মেসের বাসিন্দা ও সোলায়মানের বন্ধু শফিকুল, তার ভাই জিলহাস শুক্রবার ঢাকা মেডিকেলের মর্গের সামনে এসেছিলেন।
শফিকুল বলেন, রাতে বাসায় না ফেরায় ফোন দিতে থাকি। কিন্তু ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আগুনের খবর পেয়ে রাত ১২টা নাগাদ আমরা কয়েকজন বেরিয়ে পড়ি। কিন্তু আমাদের সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
এক সময় খবর পান ভ্যানের মধ্যে একটি লাশ পড়েছিল, সেটি ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। সেখানে এসেই সোলায়মানের লাশ শনাক্ত করেন বন্ধু শফিকুল।
কাঁদতে কাঁদতে শফিকুল বলেন, সকালে যে গেঞ্জি এবং প্যান্ট পরে বেরিয়েছে। সেটাই তার পরনে ছিল।
সোলায়মানের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর। তার ছোটভাই সেখানে ভ্যান চালায়। ভ্যানের ব্যাটারি পরিবর্তন করতে অর্থের জোগান নিতে তার ভাইকে ফোন করেছিলেন সর্বশেষ বুধবার বিকেলে। মা বলেছিল, সোলায়মানের সঙ্গে কথা বল, কিছু টাকা নিতে পারবি।
ছোট ভাই জিলহাস জানায়, আমি বলি আম্মায় কথা বলতে চাইছিল, আমি বাইরে ছিলাম তাই আর ফোন দেওয়া হয়নি। পরে রাতে ফোন দেই, বন্ধ পাই।
তিনি আরো বলেন, দিনে দুই-তিনবার করে ফোন দিতো সোলায়মান। আয় করে কিছু টাকাও পাঠাতো। তা দিয়ে মায়ের খরচ চলতো। কিন্তু আর তা হলো না।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস