বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার কড়িকান্দি এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। আল-আমিন ওই উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের মাঈনুদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, সকালে দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারের রিয়াজ ট্রেডের পাঁচজন সেলসম্যান টাকা নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে হোমনা যাচ্ছিলেন। পথে গৌরীপুর-হোমনা সড়ক পার হওয়ার সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা একদল ছিনতাইকারী অটোরিকশার গতিরোধ করে এবং তাদের কাছ থেকে ৫৮ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের দুই সদস্যকে ১৫ লাখ টাকাসহ আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনার পর রাতে আটক আল-আমিনকে সঙ্গে নিয়ে জেলা ডিবি পুলিশ ও তিতাস থানা পুলিশ অবশিষ্ট টাকা এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নামে। দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিতাসের দড়িকান্দি নামক এলাকায় পৌঁছালে একদল ডাকাত পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে আল-আমিনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ডাকাতদের একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আল-আমিনের গায়ে লাগে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আল-আমিনের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাইসহ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
আরবি/