বাকি ২১ মরদেহের মধ্যে ১৮ মরদেহ শনাক্তের জন্য ৩০ জন স্বজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি আরও ৩ মরদেহ শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ নমুনা দিতে আসেননি স্বজনরা।
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নুসরাত ইয়াসমিন বলেন, আমরা সকাল ১১টা থেকে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত ১৮ মরদেহের জন্য ৩০ জন স্বজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বজনদের মধ্যে বেশিরভাগই ভাই-বোন এসেছেন। কিন্তু ডিএনএ টেস্টের ক্ষেত্রে বাবা-মা’র স্যাম্পল বেশি কার্যকরী। তাই আমরা এরপরে যারা আসবেন তাদের বাবা-মা আসার পরামর্শ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যাদের ভাই-বোনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে প্রয়োজনে তাদের বাবা-মা’র নমুনাও সংগ্রহ করা হবে। সেক্ষেত্রে তাদের সিআইডির কার্যালয়ের ল্যাবে যেতে হবে।
ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিএনএ টেস্টের ফলাফল সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে ডিএনএ স্যাম্পলের ওপর। অনেক সময় ১ থেকে ৩ মাস লেগে যায়। তবে, এক্ষেত্রে কত সময় লাগবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। কারণ মরদেহগুলো পুড়ে গেছে।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জন পুড়ে মারা যায়। চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আবাসিক ভবনটিতে কেমিক্যাল গোডাউন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
এমএএম/ওএইচ/