ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পর্যটকদের প্রিয় ‘ছেছমা’ পিঠা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
পর্যটকদের প্রিয় ‘ছেছমা’ পিঠা ছেছমা পিঠা

খাগড়াছড়ি: ছেছমা পিঠা। শীতের সময়ে পাহাড়ের অনন্য এক পিঠার নাম। মারমা জনগোষ্ঠীর নানা ধরনের পিঠার মধ্যে ‘ছেছমা’ পিঠা সবচেয়ে জনপ্রিয়। এটা মূলত মারমাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী পিঠা হলেও ইদানিং সবার কাছেই এই পিঠার রয়েছে আলাদা চাহিদা। 

কেবল ‘ছেছমা’ নয়; স্বাদে, গন্ধেও দেখতে অতুলনীয় নানা পাহাড়ি পিঠার কদর দিন দিন বাড়ছে।
 
খাগড়াছড়িতে স্থানীয়ভাবে ‘ছেছমা পিঠা’ বান্দরবানের মারমাদের কাছে ‘ছাইস্ববক্ মু’ নামে বিশেষ পরিচিত।

নাম তার যে যাই বলুক; এ পিঠার চাহিদা ও জনপ্রিয়তা সর্বজনবিদিত। অনুষ্ঠান আয়োজন হলেই ছেছমা পিঠার নাম আসে আপ্যায়নের মেন্যুতে আগে। এ পিঠা খেতে মরিয়া থাকেন সব ধরনের পিঠা পেটুক ও বিলাসীরা।
 
মূলত বিনি চাল, গুড় আর নারকেল দিয়ে তৈরি এই পিঠা অনেক সুস্বাদু। দেখতে অনেকটা পাটিসাপটা পিঠার মতো, খেতে অনেক মজা। তাই এটি সবার কাছে জনপ্রিয়। এছাড়াও মারমারা আরও অনেক পিঠা তৈরি করেন। এরমধ্যে কদা মু, কেইন্দা মু, রেপ্রিমু, ছিলামু, ফাকামু, গুংমু অন্যতম। এসব পিঠার নামকরণ বা ইতিহাস নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা না থাকলেও এটুকু বলা যায় পিঠার বস্তু বা উপকরণের ভিত্তিতেও অনেকগুলো পিঠার নাম হয়েছে।
 
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের পানখাইয়া পাড়া এলাকার পিঠা বিক্রেতা চাছিং মং মারমা, আপ্রুশি মারমা বলেন, প্রতিদিন ৮ থেকে ৯শ’ টাকার পিঠা বিক্রি করি। এতেই সংসার চলে। শীতকালে এটি আমাদের আলাদা উপার্জনের ক্ষেত্র।
 
খাগড়াছড়িতে নির্ধারিত কোনো দোকানে এই পিঠা বিক্রি না হলেও বিশেষ করে শীতের মৌসুমে রাস্তার ধারে, পাড়ায় মারমাদের বিচিত্র পিঠা দেখা যায়। মারমা নারী-কিশোরীরা পিঠা বিক্রি করেন। শীত এলে অনেকে খুশি হন বাড়তি রোজগারের আশায়। সুস্বাদু এই পিঠা পর্যটকদের কাছেও ইদানিং বেশ জনপ্রিয় উঠছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
এডি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।