কেবল ‘ছেছমা’ নয়; স্বাদে, গন্ধেও দেখতে অতুলনীয় নানা পাহাড়ি পিঠার কদর দিন দিন বাড়ছে।
খাগড়াছড়িতে স্থানীয়ভাবে ‘ছেছমা পিঠা’ বান্দরবানের মারমাদের কাছে ‘ছাইস্ববক্ মু’ নামে বিশেষ পরিচিত।
মূলত বিনি চাল, গুড় আর নারকেল দিয়ে তৈরি এই পিঠা অনেক সুস্বাদু। দেখতে অনেকটা পাটিসাপটা পিঠার মতো, খেতে অনেক মজা। তাই এটি সবার কাছে জনপ্রিয়। এছাড়াও মারমারা আরও অনেক পিঠা তৈরি করেন। এরমধ্যে কদা মু, কেইন্দা মু, রেপ্রিমু, ছিলামু, ফাকামু, গুংমু অন্যতম। এসব পিঠার নামকরণ বা ইতিহাস নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা না থাকলেও এটুকু বলা যায় পিঠার বস্তু বা উপকরণের ভিত্তিতেও অনেকগুলো পিঠার নাম হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের পানখাইয়া পাড়া এলাকার পিঠা বিক্রেতা চাছিং মং মারমা, আপ্রুশি মারমা বলেন, প্রতিদিন ৮ থেকে ৯শ’ টাকার পিঠা বিক্রি করি। এতেই সংসার চলে। শীতকালে এটি আমাদের আলাদা উপার্জনের ক্ষেত্র।
খাগড়াছড়িতে নির্ধারিত কোনো দোকানে এই পিঠা বিক্রি না হলেও বিশেষ করে শীতের মৌসুমে রাস্তার ধারে, পাড়ায় মারমাদের বিচিত্র পিঠা দেখা যায়। মারমা নারী-কিশোরীরা পিঠা বিক্রি করেন। শীত এলে অনেকে খুশি হন বাড়তি রোজগারের আশায়। সুস্বাদু এই পিঠা পর্যটকদের কাছেও ইদানিং বেশ জনপ্রিয় উঠছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
এডি/আরআর