ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাখিদের খুনসুটি দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
পাখিদের খুনসুটি দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা বিদেশি পাখির প্রদর্শনী-ছবি-বাংলানিউজ

খুলনা: আমাজান জঙ্গলের পাখি ম্যাকা। এ পাখি আনা হয়েছে খুলনার বিদেশি পাখির প্রদর্শনীতে। বাংলাদেশের পতাকার রঙের মিল আছে এ পাখির গায়ের রঙে। তোতা জাতীয় এক জোড়া ম্যাকাও পাখির খুনসুটিতে প্রদর্শনীতে আসা দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছেন।

শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুই দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী শুরু হয়। অর্ধশত জাতের বিদেশি পাখি উঠেছে এ প্রদর্শনীতে।

তবে শিশু-কিশোর আর তরুণ-তরুণীদের জম্পেশ ভিড় লেগেই আছে ম্যাকাওয়ের সামনে। আকর্ষণ করছে বয়স্কদেরও।  

পাখি দেখতে মেলায় ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। আবার মেলায় অনেকেই এসেছেন পাখিপালন সম্পর্কে ধারণা নিতে। ছুটির দিন হওয়ায় বিকেলে সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ করা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রদর্শনীতে বিদেশি ম্যাকাও, সালফার ক্রেস্টেড কাকাতুয়া, গোল্ডিয়ানা ফিন্স, বাংলিশ ফিন্স, বাজেরিগার, রিং নেক প্যারোট, জাভা, ফিন্স, সিনামন পার্ল ককাটেল, গ্রে প্যারোট, সান কনুর, লরিকেট, গোল্ডেন ম্যানটেইল রোজিলা, জেন্ড এ কনুর, পাইনঅ্যাপেল কনুর, গ্রে গ্রিন টার্কোজিয়ান, সাদা টিয়া পাখি, হলুদ টিয়া পাখি, বদরিকা, লুটিনো, লাভ বার্ড, ক্রেসটেড ডাভ, সিল্কি হেনসহ প্রায় ৫০ প্রজাতির পাখি স্থান পেয়েছে।  

‘দেশি পাখি মারবো না- প্রকৃতি ধ্বংস করবো না’, ‘বনের পাখি বনে থাক- প্রকৃতির সৌন্দর্য শোভা পাক’ প্রভৃতি স্লোগানকে সামনে রেখে খুলনায় পাখি প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। খুলনা এভিকালচার বার্ড ব্রিডার্স সোসাইটির আয়োজনে ‘খাঁচায় পালিত বিদেশি পাখি’ ও এ্যাডেনিয়াম (ডেজার্ট রোজ) প্রদর্শনী খুলনাবাসীর জন্য দুই দিনব্যাপী উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

খাঁচায় পোষা এসব পাখির কিচিরমিচির শব্দ, ডানা ঝাপটানো ও শান্ত চুপচাপ বসে থাকা সবই মুগ্ধ করছে আগতদের। নতুন নতুন পাখির সঙ্গে পরিচিতও হচ্ছেন তারা।

আব্দুল্লাহ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, আগে কোনদিন একসঙ্গে এতো বিদেশি পাখি দেখিনি। খাঁচার ভেতর প্রদর্শিত অপূর্ব সুন্দর পাখিগুলো দেখতে সুন্দর লাগছে।  

এম রহমান নামের অন্য এক দর্শনার্থী বলেন, বিদেশি পাখিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে আমার ছেলেকে নিয়ে এখানে এসেছি। পাখি দেখছি ভালো লাগছে তবে কিনতে পারছি না। এসব বিদেশি পাখি বিক্রি হলে ভালো হতো।  

তিনি জানান, ম্যাকাও জোড়া খুব ভালো লেগেছে।  

সোসাইটির সভাপতি সাব্বির আহমেদ মুন্না বাংলানিউজকে বলেন, প্রদর্শনীতে অংশ নিতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাখিপ্রেমীরা এসেছেন প্রায় অর্ধশত জাতের তাদের সখের পাখি নিয়ে। এ প্রদর্শনীতে কোনো পাখি বিক্রি করা হচ্ছে না।  

তিনি বলেন, ম্যাকাও, কাকাতুয়া, গ্রে, প্যারোট, সান কনর, জেন্ডে কনুর, পাইনএপেল কনুর, রিকেট, টার্কোজিয়ান, সাদা টিয়া, হলুদ টিয়া, বিভিন্ন প্রজাতির লাভ বার্ড, বিভিন্ন প্রজাতির ককাটেল, গ্লোন্ডিয়ান ও জেব্রা ফিন্স, বিদেশি ঘুঘু ও বাজেরিগারসহ বিভিন্ন প্রজাতির আরও অনেক পাখি রয়েছে প্রদর্শনীতে।

মুন্না বলেন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, সর্ববয়সী মানুষের অবসর বিনোদন এবং খাঁচার পাখি বংশবিস্তারের মাধ্যমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করার মতো আরো অনেক বিষয় মানুষকে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করার জন্য আমাদের এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
এমআরএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।