শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিলেটে জেলা পরিষদ পরিচালিত হাউজিং এস্টেট ও হাউজিং এস্টেট এসোসিয়েশনের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, পুরান ঢাকার চকবাজারবাসী আগে থেকে এ বিষয়ে সচেতন হলে এত বড় ক্ষতি থেকে হয়তো বাঁচা যেত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি অনেকগুলো আবাসিক এলাকায় ফ্যাক্টরি, কলকারখানা গড়ে উঠে যাদের কাগজপত্র ঠিকমত পাওয়া যায় না। তাছাড়া আমাদের দেশের মানুষের একটা অভ্যাস হচ্ছে, আমরা নিজেকে নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকি। অন্যের কথা কখনো চিন্তা করি না। সরকারি রাস্তা ইচ্ছেমত দখল করে যাই।
চকবাজারের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চকবাজারে যে ঘটনা ঘটল সেখানে একটি ফায়ার ব্রিগেডও ঢোকার কোনো রাস্তা ছিল না। এত সরু রাস্তা। এখানকার অধিবাসীরা আগে থেকে চিন্তা করে যদি ফায়ার ব্রিগেড পৌঁছার মতো রাস্তা করে রাখতেন তাহলে হয়তো এরকম বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যেত। সবার জন্য উপকার হতো।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে বলেন, যেভাবে রাস্তা ছোট হচ্ছে, সরকারি জায়গা দখল হচ্ছে, তাতে নিজের ভয় হয়। আগামীতে এ রকম আগুন লাগলে একমাত্র হেলিকপ্টার ছাড়া আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপায় আছে কি না জানা নেই।
তিনি পুকুর ও নালা দখল প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের আশেপাশে যতগুলো নালা ও পুকুর ছিল সেগুলো মোটামুটি আমরা দখল ও ভরাট করে নিয়েছি। তার ফলে এধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে পানির সংকটে ক্ষয়ক্ষতি আরো বাড়িয়ে দেবে বলে মনে হয়। এ জন্য যে পুকুরগুলো এখনও আছে সেগুলোকে রক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে দুঃসময়ে আমাদেরই কাজে লাগে। সকল নাগরিকের সচেতন হওয়া ও সবার যৌথ উদ্যোগে দেশকে এগিয়ে নেওয়া এবং বিপদমুক্ত রাখার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন সিলেটের শিক্ষাখাতের উন্নয়নে নিজের পরিকল্পনা ও উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা একসময় শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক অগ্রসর ছিলাম। এখন পিছিয়ে পড়েছি। বরিশাল ও সিলেট অঞ্চলের জনসংখ্যা সমান হলেও সেখানে সিলেটের তুলনায় তিনগুণ বেশি বিদ্যালয় আছে। আমরা চেষ্টা করছি সিলেটকে শিক্ষায় এগিয়ে নিতে।
প্রবাসীদের বাসাবাড়ি দখল হয়ে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব সমস্যা সমাধান হওয়া প্রয়োজন। প্রবাসী কল্যাণ সেল গঠন করে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রবাসীদের সেবা দিচ্ছে। প্রবাসীদের বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি। এজন্য টাস্কফোর্সও গঠন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান।
উদযাপন কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব, বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাউজিং এস্টেট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এমএ করিম চৌধুরী, প্রফেসর ডা. এমএ হাফিজ, মতিউস সামাদ চৌধুরী। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. আজিজুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
এনইউ/এমএইচএম