ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাটশিল্প রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ মিছিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২০
পাটশিল্প রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকা: সরকারি পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ, ঘোষিত মজুরি বাস্তবায়ন ও পাটকলের আধুনিকায়ন করে পাট শিল্প রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট।

বুধবার (১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শ্রমিক নেতা রাজেকুজ্জামান রতন।

বক্তব্য রাখেন- সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, কোষাধ্যক্ষ জুলফিকার আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু নাঈম খান বিপ্লব প্রমুখ। এছাড়া এসময় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

সমাবেশে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতাপূর্ব ৭৫টি পাটকল থেকে সরকারি-বেসরকারি নীতির ফলে বর্তমানে কোনো মতে ২৫টি কারখানা টিকে আছে। একসময় পাটকলগুলো দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত ছিল, দেশের গৌরব ছিল। কিন্তু আজ সরকারের মূলনীতি ও দুর্নীতির কারণে তা ধ্বংস হতে চলছে।

বক্তারা আরও বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোকে দেশের অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করার জন্যই সরকার ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে। এই চক্রান্তমূলক নীতির কারণেই পাটকল শ্রমিকদের মজুরি মাসের পর মাস আটকে রাখা হচ্ছে। ২০১৫ সালে ঘোষিত মজুরি আজও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। ফলে শ্রমিকরা অনশনে নেমেছে। ইতোমধ্যেই অনশন, আন্দোলন করতে গিয়ে দুই শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেছেন।  

শ্রমিক নেতা রাজেকুজ্জামান বলেন, এখনো আমাদের পাটকলগুলো চলছে শত বছরের পুরনো মেশিন দিয়ে। ফলে এসবের উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে। বর্তমানে এসব পাটকল আধুনিকায়ন করে পাটের বহুমুখী উৎপাদনে যাওয়া উচিত।

অবিলম্বে পাটকল শ্রমিকদের ১১ দফা বাস্তবায়ন, বকেয়া মজুরি পরিশোধ, ২০১৫ সালে ঘোষিত মজুরি বাস্তবায়ন এবং পাটকল আধুনিকায়ন করে পাট শিল্পকে দুর্নীতি-লুটপাটের হাত থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানান এ নেতা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১ ,২০২০
পিএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।