পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনকে ফৌজদারি মামলায় জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৪ জারুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী একই উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের বালুবাড়ি এলাকার আব্দুল হামিদ একজন পাথর ব্যবসায়ী। ব্যবসা সূত্রে তিনি বাংলাবান্ধা এলাকায় ৬৫ শতাংশ জমি কিনে ব্যবসা কেন্দ্র খোলেন। পাশে নিজেদের বসতবাড়িও নির্মাণ করেন তিনি। ওই জমি দখলের পায়তারা শুরু করেন চেয়ারম্যান মিলন। পরে গত বছরের ২০ মার্চ ভোরে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আব্দুল হামিদের বসবাড়িতে হামলা চালান। এসময় বাদীর স্ত্রীর শ্লীলতাহানী করা হয় এবং বাড়ির বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করে আব্দুল হামিদ।
মামলার বাদী পক্ষের অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব বাংলানিউজকে জানান, এ মামলায় চেয়ারম্যান মিলন হাইকোর্ট থেকে ২৮ দিনের জামিনে ছিলেন। এর আগে আদালত মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করেছিলেন। আদালতের তলব সাপেক্ষে মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। সোমবার শুনানিতে সেই রিপোর্টের আলোকে আসামি মিলনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, চেয়ারম্যান মিলনের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন।
এদিকে, চেয়ারম্যান মিলনকে জেলহাজতে পাঠানোর প্রতিবাদে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে স্থানীয় শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এসময় তারা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং তার মুক্তি দাবি করেন। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা। বাংলাবান্ধা শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ নংরাজঃ ২০০০) সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এ চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। চেয়ারম্যানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈম মিয়া বাংলানিউজকে বিক্ষোভ অবরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২১
এসআই