ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মায় অর্ধেকে নেমেছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২১
পদ্মায় অর্ধেকে নেমেছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা পরিযায়ী পাখি। ছবি: তামজিদ আলম টোকেন

রাজশাহী: রাজশাহীর পদ্মায় আবারও শুরু হয়েছে জলচর পাখিশুমারি। পদ্মা নদী সংলগ্ন এলাকায় গত সোমবার (৫ জানুয়ারি) শুরু হওয়া এ শুমারি আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে।

প্রথম দিন পদ্মার ৩৯ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে পরিচালিত শুমারিতে ৪১ প্রজাতির মোট ২ হাজার ৭০৯টি জলচর পাখি পাওয়া গেছে।

পদ্মা নদীর চর খানপুর থেকে শুরু করে মাঝারদিয়াড় চর পর্যন্ত শুমারির কাজ চালানো হয়। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন), বাংলাদেশ বন বিভাগ, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব ও রাজশাহী বার্ড ক্লাবের সদস্যরা এই পাখিশুমারিতে অংশ নেন।

শুমারিতে অংশ নেওয়া পাখি বিশেষজ্ঞরা জানান, শুমারিতে ৪১ প্রজাতির মোট ২ হাজার ৭০৯টি জলচর পাখি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ পাওয়া গেছে ৫৭৭টি প্রিয়ং হাঁস।  

বিরল প্রজাতির পাখির মধ্যে আছে কালো মানিকজোড় ও একটি ফুলুরি হাঁস। বছর শেষে ওয়েটল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি সংস্থা থেকে পাখিশুমারির ফল প্রকাশ করা হবে।

আইইউসিএন বাংলাদেশের তথ্য মতে, গত বছর পদ্মার চরে প্রথমবারের মতো জলচর পাখিশুমারি করেন একদল গবেষক।

শুমারিতে রাজশাহীর পদ্মার পাড়জুড়ে ৩৭ প্রজাতির মোট ৪ হাজার ২৫টি পাখি গণনা করা হয়। এর মধ্যে ২৭ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ১০০টি পাওয়া গেছে প্রিয়ং হাঁস। সৈকত পাখির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে টেমিং এর চা পাখি।

পদ্মার চরে অনেক দুর্লভ প্রজাতির পাখি পাওয়া গেছে। গত বছরই পদ্মাচরে প্রথম দেখা গেছে ‘কমন মার্গেঞ্জার’। সবচেয়ে বিরল পাখির মধ্যে দেখা গেছে একটি বৈকাল তিলিহাঁস।

এছাড়া দেশি মেটে হাঁস, লালমাথা ভূতিহাঁস, ইউরেশিয় সিথিহাঁস, উত্তুরে খুন্তেহাঁস, উত্তুরে ল্যাঞ্জাহাঁস, কালা মানিকজোড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে চালানো এ পাখিশুমারি ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আইইউসিএন’র সিনিয়র প্রোগ্রাম কর্মকর্তা সরোয়ার আলম দিপু।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, আগামী ৭ দিন ধরে এ পাখিশুমারি চলবে। আমরা সাধারণত হাওর অঞ্চলের পাখির শুমারি করে থাকি। তবে এবারের এই শীত মৌসুমে উত্তরের শহর রাজশাহীতে দ্বিতীয় শুমারি করা হয়েছে। গত বছরের শুমারিতে পদ্মা নদীর ওই এলাকায় ৩৭ প্রজাতির মোট ৪ হাজার ২৫টি পাখি গণনা করা হয়েছিল।  

এবারের শুমারিতে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে পরিযায়ী পাখির প্রজাতি বেড়েছে। তবে আগে তুলনায় পাখির সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে, যা ভাবনার বিষয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে, আইইউসিএনের বন্যপ্রাণী গবেষক সারোয়ার আলম, কর্মসূচি সহকারী জেনিন আজমেরী ও মহসীন কবির, রাজশাহী বন বিভাগের ফরেস্টার আশরাফুল ইসলাম এবং রাজশাহী বার্ড ক্লাবের সদস্য অভিসহ আরও অনেকে এই পাখিশুমারি পরিচানায় অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২১
এসএস/ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।