যশোর: স্বামীকে ভুয়া একটি তালাকনামা পাঠিয়ে অন্যত্র বিয়ে করার অভিযোগে হালিমা খাতুন (২২) নামে এক নারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার (০৬ জানুয়ারি) যশোর শহরের রায়পাড়ার মোহাম্মদ হোসেন ধাবকের ছেলে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে স্ত্রী হালিমা খাতুন ও তার বাবা-মাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দুরমুজখালী গ্রামের আবু মুছার মেয়ে এবং বাদীর স্ত্রী হালিমা খাতুন (২২) তার বাবা আবু মুছা (৬৬), মা সায়েরা বেগম (৬০), ভাই আল-আমিন হোসেন (৩৫), ভাবি নাজিরা বেগম (৩০) ও আজাদ আলী গাজীর ছেলে মিকাইল হোসেন গাজী (৪০)।
মামলায় বাদীর অভিযোগ, ৮ বছর আগে হালিমা খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনের তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। গত ২৫ আগস্ট আবু মুছা, সায়েরা বেগম, আল-আমিন, নাজিরা বেগম ও মিকাইল গাজীসহ সব আসামি যশোরে বাদীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এ সময় আবু মুছা ও সায়েরা বেগম তাকে জানান কিছুদিনের জন্য মেয়ে হালিমা খাতুনকে নিজেদের বাড়িতে বেড়ানোর জন্য নিয়ে যেতে চান। বাদী হুমায়ুন কবির এতে সম্মতি দিলে তারা হালিমা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পরে হালিমা খাতুনকে আসামি মিকাইল গাজীর সঙ্গে বিয়ে করার জন্য প্রলুব্ধ করেন। এরপর একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে দেওয়া একটি তালাকনামা হুমায়ুন কবিরের কাছে পাঠানো হয়। ওই তালাকনামা পাওয়ার পর হুমায়ুন কবির সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ম্যারেজ রেজিস্ট্রার শেখ সাইদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে তিনি জানতে পারেন, তার কাছে পাঠানো তালাকনামাটি ভুয়া এবং এ সংক্রান্ত একটি প্রত্যায়নপত্র শেখ সাইদুজ্জামান তাকে দেন।
গত ৩ জানুয়ারি বিকেলে সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার দুরমুজখালী গ্রামে আসামিদের বাড়িতে যান বাদী হুমায়ুন কবির। তখন তিনি জানতে পারেন, জালিয়াতির মাধ্যমে হুমায়ুন কবিরকে তালাক দিয়ে হালিমা খাতুনকে আসামি মিকাইল গাজীর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। এ সময় তিনি ভুয়া তালাকনামা সংক্রান্ত প্রত্যায়নপত্র আসামিদের দেখালে তারা পাত্তা দেননি। এ কারণে হুমায়ুন কবির আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২১
ইউজি/আরএ