ঢাকা: সীমান্ত এলাকা দিয়ে দেশে যেন মাদক প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য দুর্গম এলাকায় বর্ডার রুট তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এই রুট তৈরি হলে মাদকের বিস্তার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানান তিনি।
সচিবালয়ে (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক আমাদের দেশে তৈরি হয় না। ভারত বা মিয়ানমার থেকে আসে। মাদকের স্বর্গরাজ্য হলো মিয়ানমার। আমাদের টেকনাফের যতো ওপরে যাবেন এটা ইন্যাক্সেসেবল জায়গা। এটা হেঁটে যেতে হলেও বর্ডারে যেতে দুই থেকে তিনদিন লাগবে। কারণ কখনো পাহাড়ের ওপরে উঠবেন বা নিচে নামবেন কখনো পানির ওপরে যেতে হবে বা দুর্গম বনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বর্ডার রুট করছি। এটা দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মনে করি দুই বছরের মধ্যে বর্ডার রুট করা শেষ হবে। এটা হয়ে গেলে বর্ডার গার্ডরা সীমান্তে গিয়ে পাহাড়া দিতে পারবেন। রুটটা চালু থাকলে এ ধরনের মাদক থেকে অনেকাংশেই আমরা মুক্তি পাবো বলে আশা করি। শতভাগ হবে এটা আমরা আশা করি না কিন্তু অনেকখানিই আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মিয়ানমারে আপনারা নিশ্চই জানেন, এই সুবিধা নিয়েই সেখানে থেকে এখনো আসছে। কখনো সাগর পথে আসে কখনো সড়ক পথে আসে জঙ্গল দিয়ে। আমরা কোস্টগার্ডকেও শক্তিশালী করেছি, তাদের আরো শক্তিশালী করার জন্য আমরা প্রক্রিয়া নিয়েছি যাতে এ ধরনের মাদক আমাদের যুব সমাজকে নষ্ট করতে না পারে। সারা দেশে যত্রতত্র মাদকের বিস্তার ঘটে যাচ্ছে বলে খবর আসছে। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর থেকে কঠোরতম অবস্থানে না গেলে শতভাগ সফল হব না।
তিনি বলেন, টেকনাফের অবস্থা আপনারা ভালো করে জানেন, টেকনাফের অধিবাসীরা, এটা শুনলে হাসিও পায়, তারা বলে এটা তো মাদক না। তারা বলে ওষুধ, ট্যাবলেটকে (ইয়াবা)। এজন্যই আমরা বলেছি আগে জনগণকে সচেতন করতে হবে। এটা না হলে পুলিশ কোস্টগার্ড কিছুই করতে পারবে না। সেটাই আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে জনগনকে সম্পৃক্ত করতে যা প্রয়োজন আমরা তাই করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
জিসিজি/এসআইএস