ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিচ্ছে ডব্লিউএফপি

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিচ্ছে ডব্লিউএফপি ডব্লিউএফপি

ঢাকা: কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে ১৬ নম্বর ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে গরম খাবার সরবরাহ করছে জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। এ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৫শটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

সোমবার (১০ জানুয়ারি) ডব্লিউএফবি থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, রোববার (৯ জানুয়ারি) রাতের অগ্নিকাণ্ডের পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে ডব্লিউএফপি ও তার অংশীদার বাংলাদেশি এনজিও রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) ৩২৮টি পরিবারকে (আনুমানিক ১ হাজার ৬০০ জনকে) উচ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট সরবরাহ করেছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণে এই পরিবারগুলোর কেউ তাদের ঘর হারিয়েছে আবার কারও রান্নার সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে গেছে। যেসব পরিবারের রান্নার কোনো ব্যবস্থা নেই, তাদেরকে সোমবার থেকে ডব্লিউএফপির পক্ষ থেকে দিনে দুইবার করে রান্না করা গরম খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত এই পরিবারগুলোর ঘর পুনর্নির্মাণ করা না হচ্ছে ও তাদের জন্য রান্না করার গ্যাসসহ রান্নার অন্যান্য সরঞ্জামের ব্যবস্থা না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই গরম খাবার সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। আর পরিবারগুলোকে ডব্লিউএফপির নিয়মিত খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

কক্সবাজারে ডব্লিউএফপির সিনিয়র ইমার্জেন্সি কো-অর্ডিনেটর ও শীর্ষ কর্মকর্তা শিলা গ্রুডেম বলেন, ১৬ নম্বর ক্যাম্পে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা দেখে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত।  সৌভাগ্যক্রমে, বিভিন্ন জাতীয় সংস্থা, জাতিসংঘ সংস্থা, খুচরা বিক্রেতা ও স্থানীয় রেস্টুরেন্টের সঙ্গে অংশীদারিত্বের কল্যাণে, সর্বস্ব হারানো এই রোহিঙ্গাকে তাৎক্ষণিকভাবে ত্রাণ দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে, আর এজন্য আমরা প্রত্যেকেই কাজ করে যাচ্ছি।

কক্সবাজারে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির, যাতে প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করে। বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে তৈরি রোহিঙ্গাদের ঘনবসতিপূর্ণ ঘরগুলোতে আগুন লাগা অন্যতম এক বিপজ্জনক ব্যাপার, যা রোহিঙ্গাদের ঝুঁকির মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

২০২১ সালের মার্চে অগ্নিকাণ্ডে ১০ হাজার ঘর পুড়ে গিয়েছিল আর বাস্তুচ্যুত হয়েছিল কমপক্ষে ৪৫ হাজার মানুষ। এছাড়া ২০২১ সালের জুলাইয়ে তীব্র বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৪৬ হাজার রোহিঙ্গা। সেসময় বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ ভূমিধসও ঘটেছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।