ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন

ঢাকা: ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর্যের সঙ্গে উদযাপন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে চ্যান্সারি ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অপর্ণ, বাণীপাঠ, ভিডিওচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।


বাংলাদেশ হাইকশিমনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ও হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোস্তফা জামিল খান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের বিজয়ের পূর্ণতা লাভ করে। বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জাতির পিতার অবদান ছিল অতুলনীয়। ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বসহ ১৯৫২ ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় সবই হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও রূপকার।

হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  

তিনি বলেন, ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীলনকশা ‘অপরাশেন সার্চলাইট’ এর মাধ্যমে গণহত্যা শুরু করে। এ প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দেন। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। পাকিস্তান জান্তারা বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে এবং তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করে রাখে। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাকে নেতৃত্বের আসনে রেখেই মুক্তিযুদ্ধ চলতে থাকে এবং ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর বাঙালি জাতি চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। যে জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধু তার জীবন উৎসর্গ করেছেন বিমানবন্দর থেকে পরিবারের কাছে না গিয়ে আজকের এদিনে পাকিস্তান থেকে ফিরে তিনি প্রথমেই সেই জনগণের কাছে যান। তাই বঙ্গবন্ধু আজও জনগণের মাঝেই বেঁচে আছেন।

এরপর জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
টিআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।