সিলেট: ভারতীয় মহিষ পাচারকালে দুর্ঘটনা কবলিত হলো বহনকারী ট্রাক। ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে দুজন আহত হন।
এ ঘটনায় আহত দুটি মহিষ ঘটনাস্থলে নিলামে ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। একটি মহিষ উদ্ধারসহ দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিজিবি।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ফেরীঘাট চৌমুখি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা বলেন, উপজেলার টিপরাখলা ১২৯০ দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে নিয়ে আসা হয় মহিষ ৩টি। ডিআই ট্রাকটি হরিপুর বাজারে পৌঁছার আগেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত হয়। এতে গুরুতর আহত হন ট্রাকচালক উপজেলার খারুবিল গ্রামের মৃত মজিবুল হকের ছেলে এবাদুর রহমান এবাদ (২৬) এবং গোয়াবাড়ী গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে মো. রমজান আলী (২৫) গুরুতর আহত হন। তারা জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনার অবৈধ পথে ভারত থেকে আনা মহিষ বোঝাই ট্রাক দুর্ঘটনায় স্বীকার হতে দ্রুত ঘটনাস্থলে ১৯ বিজিবির জৈন্তাপুর রাজবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা এবং জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ। টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত মহিষ ও তাদের বহনকারী ট্রাক আটক করে। গুরুতর আহত দুটি মহিষ নিলামে ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করা হয়।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের টহল টিম ঘাটনাস্থলে পৌঁছে মহাসড়কের যানজট নিসরন করে। তারমধ্যে আহত দু’টি মহিষ নিলামে বিক্রয় করে বলে জানতে পেরেছেন।
এদিকে, স্থা্নীয়রা অভিযোগ করেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে আসলেও তাদের সোর্স খ্যাত চোরাকারবারি আব্দুল করিম উরফে বেন্ডিজ করিমকে আটক না করে উল্টো আহ দু’টি মহিষ তার কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আব্দুর রহিম, কয়ছর আহমদ, হুমায়ুনসহ কয়েকজন এমন অভিযোগ করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিজিবির লাইনম্যান (সোর্স) হওয়ার কারণে আব্দুল করিমকে আটক না করে উল্টো তার কাছে মহিষ বিক্রি করা হয়। একটি মহিষ ও দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি বিজিবি ক্যাম্পে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আব্দুল করিম বলেন, আমি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত নই। দুর্ঘটনার পর বিজিবি ও স্থানীয় জনতা ফোন করে আমাকে ঘটনাস্থলে যেতে বলে। পরে আহত মহিষ দুটি নিলামের ব্যবস্থা করে দিই আমি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
এনইউ/এসএ