ঝালকাঠি: ঝালকাঠির রাজাপুরে রাতের আধারে ঘরে ঢুকে গলায় চাকু ধরে মাকে জিম্মি করে তার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী কিশোরী মেয়েকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাতে প্রধান অভিযুক্ত আলী হোসেন মোল্লা (২৭) ও তার সহযোগী ফুহাত মীরকে (২২) আসামি করে রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতার আলী রাজাপুর উপজেলার ছোট কৈবর্তখালী গ্রামের মৃত আনেচ মোল্লার ছেলে এবং পলাতক আসামি ফুহাত পার্শ্ববর্তী বড় কৈবর্তখালী গ্রামের মো. শাহ আলম মীরার ছেলে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়া-আসার প্রায়ই একই এলাকার আলী কু-প্রস্তাব দিতেন। এ সময় আলী সঙ্গে তার সহযোগী ফুহাত থাকতেন। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর কয়েকদিন ভুক্তভোগীর বাড়িসহ ওই এলাকা বিদ্যুৎবিহীন ছিল। গত ২৮ অক্টোবর দিনগত রাত ২টার দিকে আলী ও ফুহাত ভুক্তভোগী পরিবারের বসতঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং ধারালো চাকু মায়ের গলায় ধরে ভয় দেখিয়ে তার কিশোরীর মেয়ের হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে আলী কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। ফুহাত মেয়েটির মায়ের কাছে পাহাড়ায় ছিল। ধর্ষণ শেষে টর্চলাইটের আলোতে অভিযুক্তরা তাদের চেহারা দেখিয়ে ঘটনা প্রকাশ না করতে ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দিয়ে চলে যান। সকালে ভুক্তভোগী পরিবারটি কাউকে কিছু না বলে আলী ও ফুহাতের ভয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যান। পরে পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগী পরিবার এলাকায় এসে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাতে আলী ও ফুহাতকে আসামি করে মামলা করে। রাতেই মামলার প্রধান আসামি আলীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বুধবার সকালে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
অন্যদিকে আলীকে বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পলাতক আসামি ফুহাতকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
এসআরএস