ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজস্বের অর্থ নিয়ে পালানোর চেষ্টা, ভূমি উপ-সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
রাজস্বের অর্থ নিয়ে পালানোর চেষ্টা, ভূমি উপ-সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা: ভূমি রাজস্ব খাতের আদায়কৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ভূমি অফিস থেকে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে পালানোর অভিযোগে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবদুল লতিফ হাওলাদার বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীতে মামলাটি দায়ের করেন।

দুদকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সরকারি কর্মচারী এবং ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন খাতের আদায়কৃত সরকারি রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে নিজ হেফাজতে রেখে অসৎ উদ্দেশ্যে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেন।

সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা ও আত্মসাতের উদ্দেশ্যে অফিস থেকে পালানোর অভিপ্রায়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করায় তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১০ আগস্ট আসামি মোহম্মদ মনিরুল ইসলামকে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্মরত থাকা অবস্থায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই মাসের ১৭ আগস্ট মনিরুল ইসলাম তার কার্যালয়ের দাফতরিক দায়িত্ব আ.ন.ম মুরাদুল ইসলামকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলে সম্পূর্ণ দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি।

একই দিনে তিনি দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে অফিস ত্যাগ না করার জন্য উদ্যোগী হলে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আ.ন.ম মুরাদুল ইসলাম বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সালেক মুহিদকে জানান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোহাম্মদ সালেক মুহিদ আসামি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে তার কাঁধে ঝুলানো একটি গাঢ় নীল রংয়ের ব্যাগসহ অফিস ত্যাগ অবস্থায় দেখতে পান। সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় থেকে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল নথি অসাধু উদ্দেশ্যে দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে বুঝিয়ে না দিয়ে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে কিনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সাক্ষীদের উপস্থিতিতে নীল রংয়ের ছোট শপিং ব্যাগ খুলে তার মধ্যে বাংলাদেশী মুদ্রার এক হাজার টাকা মূল্যমানের নোটের চারটি বান্ডিলে চার লাখ টাকা ও ২০০ শত টাকা দুটি নোট উদ্ধার করেন। তবে এসব টাকা বহনের পক্ষে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
এসআর/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।